পাতা:প্রসূতি-তন্ত্র.djvu/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহ । (t হইবে না । সুতরাং সে সকল সস্তানের দ্বারা দেশের বা দশের কোন প্রকার উপকারের প্রত্যাশা করা যাইতে পারে না । আর এককথা,—অনেকে বলিতে পারেন যে,কন্যা ঋতুমতী হইবার পূৰ্ব্বেই তাহাকে পাত্রস্ত করা ধৰ্ম্মশাস্ত্রের অবশু প্রতিপাল্য নিয়ম এবং আজ কাল অনেক কন্যাকে দ্বাদশ বর্ষের পূর্বেই ঋতুমতী হইতে দেখাযায়, সেক্ষেত্রে কি প্রকারে দ্বাদশ বর্ষে ঋতুমতী কস্তার বিবাহ দেওয়া শাস্ত্রসঙ্গত হইতে পারে ? তছুক্তরে বক্তব্য এই যে, দ্বাদশবর্যের পূৰ্ব্বেই কস্তার ঋতুমতী হইবার বিশিষ্ট কোন নিয়ম নাই । গ্রীষ্ম অপেক্ষা শীত প্রধান দেশের স্ত্রীলোকগণ কিঞ্চিৎ বিলম্বে ঋতুমতী হইয়া থাকে। তদ্ভিন্ন যে সকল কন্য আমোদ প্রিয়, গৃহকৰ্ম্মে যোগদান করে না, সৰ্ব্বদা বিলাস বাসনার পরিতৃপ্তির জন্য ব্যস্ত, চিত্তের উদ্বেগকর উপন্যাসাদি পাঠে নিরত,ব্রহ্মচৰ্য্যহান,—তাহারাই দ্বাদশবর্যের পূর্বেই ঋতুমতী হইয়া থাকে। অতএব, যদি বর্তমান সমরে কন্যাগণকে সুশিক্ষা-দান, গৃহকৰ্ম্মে নিপুণ করিয়া বিবাহ দেওয়া হয়, তাহা হইলে কন্যাগণের অকালে ঋতুমতী হুইবার সম্ভাবনা থাকেন। সুতরাং, ধৰ্ম্মহানির আশঙ্কা নাই। অধিকন্তু তাদৃশ শিক্ষিত কন্যা, স্বামীর ভবনে গৃহিণী হইবার যোগ্য এবং শ্রেষ্ট-সন্তানজননী হইবে, সন্দেহ নাই ।