হিরণ্যকশিপু কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারেন না। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস—অন্য কোন অলৌকিক ব্যাপারে প্রহ্লাদের জীবন রক্ষা হচ্ছে।
পুত্রকে মার্জ্জনা করবার জন্য রাজাকে বহু অনুনয় করলেন রাণী কয়াধু, কিন্তু তাঁর সমস্ত প্রার্থনাই হ’ল ব্যর্থ। হরির নাম ভুলে-না-যাওয়া পর্য্যন্ত ক্রুদ্ধ রাজার কাছে প্রহ্লাদের ক্ষমা নেই। ....পিতৃদ্রোহী, পিতার আদেশ আমান্যযকারী পুত্রের কণ্ঠে শীলা বেঁধে, তাঁকে সমুদ্রগর্ভে নিক্ষেপের আদেশ দেওয়া হ’ল।
সেনাপতি সম্বর রাজার এ-আদেশ পালনে অক্ষমতা জ্ঞাপন করলেন।—দৈত্য রাজ তাকে রাজদ্রোহীতার অপরাধে করলেন হত্যা।
হরির কৃপায় এবারেও প্রহ্লাদের প্রাণ রক্ষা হলো। সমুদ্রগর্ভে নিক্ষিপ্ত প্রহ্লাদকে নারায়ণ তুলে নিলেন নিজের কোলে।
রাজার শেষ অদেশে প্রহ্লাদকে নিক্ষেপ করা হ’ল জলন্ত অগ্নিকুণ্ডে। কিন্তু সর্ব্বভূক অগ্নির গ্রাস থেকেও রক্ষা পেলে প্রহ্লাদ বিচিত্র ভাবে।
তারপর হরিভক্ত প্রহ্লাদের অলৌকিক প্রভাবে সমস্ত দৈত্যকুল কেমন করে হরিগুণ গানে মেতে উঠলো মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে,—কেমন করে বিদীর্ণ স্তম্ভের মধ্য থেকে নৃসিংহ অবতার আবির্ভূত হয়ে মুক্তি দিলেন বিষ্ণু-বিদ্বেষী ত্রিলোক বিজয়ী হিরণ্যকশিপুকে,—তারই অপরূপ আলেখ্য দেখতে পাবেন অরোরার সশ্রদ্ধ নিবেদন ‘প্রহ্লাদ’, চিত্রে।
(১)
তোর নাম রেখেছি হরিবোলা
মন র সাথে ও আমার মন
খেলনা হরিনামের খেলা॥
প্রেমে মেখে ভক্তিমাটি
গড়না হরির চরণদুটি
আয় দুজনে সেই চরণে
পরিয়ে দিই বনফুলের মালা॥
(২)
মধুর হরি নামের মতন
কি আর আছে ভুবন মাঝে
প্রাণমাতানো অমূল রতন॥
(৩)
কোথায় তুমি কোথায় ওগো হরি
শ্যামল বরণ হৃদয় হরণ।
দাও দরশণ কোথায় হরি
ভূবনমোহন হে নাথ আমার
তোমার চরণ স্মরণ করি॥
নামটি তোমার প্রাণের ঠাকুর
অমিয় অরূপ রূপটি ধরি
চরণ অভয় দাও দয়াময়
পরশ সুধায় জীবন ভরি॥
(৪)
আমি সাপুড়িয়া মেয়ে সাপুড়িয়া