বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮৮
প্রাকৃতিকী

সংমিশ্রণ ঘটে। তিন চারিটি মৌলিক পদার্থের রাসায়নিক সংযোগ হইলেও ঠিক পূর্ব্বোক্তপ্রকারে মৌলিক “সজীবকণা”-গুলি পরস্পরের কোষাভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়া এক একটি পৃথক “সজীবকণা”র উৎপত্তি করে। লৌহ ও গন্ধকের রাসায়নিক মিলনে, লৌহের কণা গন্ধকের কণার ভিতর প্রবেশ করে, কি গন্ধকের সজীব কোষ লৌহকোষের ভিতর আশ্রয় লয়, তাহা উপেক্ষার বিষয় নহে। ডুবার‍্ন্ সাহেব বলিয়াছেন, যে পর্য্যায়ে “সজীবকণা”-গুলি পরস্পরের ভিতর আশ্রয় গ্রহণ করে, তাহা নির্ণয় করিতে পারিলে অনেক রাসায়নিক রহস্যেরও প্রকৃতি নির্ণয় করা যাইতে পারিবে।

 ডুবার‍্ন্ সাহেবের এই আবিষ্কারের বিবরণ আরও বৈজ্ঞানিক জগতের সর্ব্বাংশে প্রচারিত হয় নাই। পরীক্ষায় দৃষ্ট ব্যাপারগুলি প্রত্যক্ষ হইলেই যে ভ্রমপ্রমাদহীন হইবে, এ কথা বলা যায় না। সুতরাং একক ডুবার‍্ন্ সাহেব একটিমাত্র যন্ত্রে “সজীবকণা”র সন্ধান পাইয়া যে প্রকাণ্ড সিদ্ধান্তের প্রতিষ্ঠা করিতেছেন, তাহার ভিত্তি খুবই দুর্ব্বল বলিয়া মনে হয়। বিশেষতঃ যাহাদিগকে তিনি “সজীবকণা” নামে আখ্যাত করিয়াছেন, তাহারা যে প্রকৃতই সজীব তাহার কোনই প্রমাণ পাওয়া যায় নাই। সুতরাং বিজ্ঞানের প্রচলিত সিদ্ধান্তগুলির প্রতি দৃষ্টিপাত না করিয়াই ইনি যে-সকল কঠিন কঠিন তত্ত্বের অবতারণা করিয়াছেন বোধ হয় তাহার আলোচনা করিবার আজও সময় উপস্থিত হয় নাই। যদি কোন দিন সেই শুভ কাল উপস্থিত হয়, তবে ডুবার‍্ন্ সাহেব ধন্য হইবেন এবং তাঁহার প্রসাদে আধুনিক বিজ্ঞান অজ্ঞানকুহেলিকা হইতে বিমুক্ত হইয়া উজ্জল হইয়া উঠিবে। আপাততঃ সিদ্ধান্তগুলিকে প্রসিদ্ধ বৈজ্ঞানিকদিগের কঠোর অগ্নিপরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করিতে হইবে।

 সমস্ত জিনিষই যে সজীব এই কথাটা শুনিলে এখন আর