おぺ প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান উল্লার নিকট হইতে সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন। (৮) “মহীপালের গান’-এর একটি ক্ষুদ্র অংশ মৌলবী মনসুরউদিনের নিকট হইতে পাইয়াছিলাম। (৯) শুজা বাদশাহের পত্নী পরীবানু সম্বন্ধে ক্ষুদ্র পালাটির নাম “পরীবানুর ইহিলা”, ইহ আশুতোষ চৌধুরী কর্তৃক চট্টগ্রামের ডবলমুরির অন্তর্গত আনারাবাদ নিবাসী খলিলুর রহমান ও উজানটেয়াবাসী মনস্থর আলির নিকট হইতে সংগৃহীত হইয়াছিল। (১০) “সোনাবিবির পালা’টি প্রধানতঃ শ্ৰীহট্টের কাটিয়ালী গ্রামবাসী রহমান সেখের নিকট হইতে সংগৃহীত হইয়াছে। (১১) “মহিষাল বন্ধু” নামক কবিত্বপূর্ণ গীতিকাট চন্দ্রকুমার দে কর্তৃক প্রধানতঃ ভাওয়াল পরগণার উজি গ্রামবাসী মাঝিয়া সেখ এবং কাটঘরা গ্রামের গাছুনি সেখের নিকট হইতে সংগৃহীত হইয়াছিল। (১২) মুসলমান কবি জামায়েতউল্লা প্রণীত অত্যুৎকৃষ্ট “মাণিকতারা” বা “ডাকাতের পালা”টি স্বৰ্গীয় বিহারীলাল চক্ৰবৰ্ত্তী কাহার নিকট হইতে পাইয়াছিলেন, তাহ সহসা মৃত্যুমুখে পতিত হওয়াতে তিনি আমাকে জানাইবার অবসর পান নাই। এই সংবাদটি না জানতে বঙ্গ-সাহিত্যের একটি গুরুতর ক্ষতি হইয়াছে। এই কবিত্বের খনি গ্রাম্য প্রাচীন সমাজের নিখুঁত চিত্রপট, যুবকের উদ্যম ও দুষ্কর অভিযানের জীবন্ত ছবি এবং মহীয়সী। পল্লী-বালিকার বীরত্ব ও স্বামী-প্রেম-ব্যঞ্জক অত্যন্ধুত পালাটির এক তৃতীয়াংশ মাত্র বিহারী চক্রবর্তী সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন, বাকিটা সংগৃহীত হইতে পারে নাই। আমি বহু চেষ্টা করিয়৷ এই পালাটির ক্ষুদ্র আর একটু অংশ আবিষ্কার করিয়াছি, তাহা এখনও ছাপা হয় নাই। (১৩) “ নিজাম ডাকাভের পালাটি আশুতোষ চৌধুরী চট্টগ্রামের বোয়ালখালির অন্তগত আল্লাগ্রাম নিবাসী সেখ সদর আলি এবং মতিয়র রহমান নামক এক বাজিকরের নিকট পাইয়াছিলেন। (১৪) “ঈশাখা দেওয়ানের পালা” ও (১৫) “দেওয়ান ফিরোজখার পালা” চন্দ্রকুমার দে বাজীতপুর নিবাসী
পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১০১
অবয়ব