প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান කුළු সহর আলি গায়েন, চন্দ্রতলার সদর গায়েন হইতে সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন। (১৬) “সুস্থত জামাল ও আধুয়া সুন্দরী’ পালাটির লেখক অন্ধকবি ফৈজু ; এই পালাটিও চন্দ্রকুমার দে সংগ্ৰহ করিয়াংছন। (১৭) “দেওয়ান ভাবনা’ চন্দ্রকুমার দে কেন্দুয়ার নিকটবৰ্ত্তী মাঝিদের মুখে শুনিয়া সংগ্ৰহ করেন। (১৮) “নছর মালুম” পালাটি আশুবাবু চট্টগ্রামের কাটালভাঙ্গা পল্লীর নূর হোসেন গায়েন, মহিষমার গ্রামের গুরু মিঞা ও কর্ণফুলীর মোহনার নিকটবৰ্ত্তী কোন পল্লীবাসী রহমান সাম্পেনের নিকট হইতে সংগ্ৰহ করেন। (১৯) “মুরস্নেহ কবরের কথা”—চট্টগ্রামের পেস্কারের হাট পল্লীর হয়বং আলি, কোতোয়ালী থানার অন্তর্গত চরবকতাইবাসী হাকিম র্য। ও বোয়ালিয়ার অন্তর্গত পূবদিয়া গ্রামবাসী গুণা মিঞার নিকট হইতে আশুবাবু এই পালাটি সংগ্রহ করেন। (২০) “মুকুটরায়”—এই কাব্যের লেখক মুসলমান, বিষয় হিন্দুসংক্রান্ত, কিন্তু ইহাতে ইসলামের জয় ঘোষিত হইয়াছে । এই ‘মুকুটরায়’-এর গীতিকায়—সম্পূর্ণ অবজ্ঞাত দেশে তরুণ মুকুটরায়, শকুন্তল বা মিরে গুর সংস্কারবর্জিত এক বনের কস্তা দেখিলেন। প্রথম দর্শণেই কষ্ঠ যুবরাজের রূপে মুগ্ধ হইল। কবি বলিতেছেন— “র্কাদিয়া কাটিয়া কন্যা ফেলায় ধনুক-ছিল। কেমন পীরিতির জ্বালা বুঝিল বনেল ॥” যে কখনও তাহার পর্ণ-কুটীরের বাহিরে পা দেয় নাই, যে কোন প্রেমকাহিনী শুনে নাই, সে হঠাৎ রাজকুমারকে দেখিবামাত্র পাগল হইল কেমন করিয়া ? কবি কৃষক, কিন্তু তাহার মনস্তত্ত্ব-বিশ্লেষণের চেষ্টা দাশনিকের মত। পালাটি সম্পূর্ণরূপে পাওয়া যায় নাই। ইহাতে ইস্লামের প্রতি অনুরাগে কবি ভরপুর।
পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১০২
অবয়ব