বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సె"b প্রাচীন বঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান পলাইবার পথে শস্তু সদৃশ উন্নত স্তনদ্বয় প্রেমদেবতার কুন্তল-স্বরূপ লোমাবলী ধরিয়া টানাটানি করে না, তাহাদের গতি গজরাজের গতির ন্তায় নহে এবং তাহাদের কাদম্বিনী নিন্দিত কুন্তলের লহর ভূজঙ্গিনীসম বেণী রচনা করে ন। তাহাদের শ্রীতি গৃধের কর্ণের হায় নহে এবং নাস খগরাজের দর্প ভগ্ন করে না,—তাহাদের ক্রর ভঙ্গিমা কামানের দ্যায় বা কন্দপের ফুলশরের সম নহে এবং তাহাদের পদের মঞ্জীরধবনি শিখিবার জন্য গুঞ্জনশীল ভ্রমর পদে পদে ঘুরিয়া বেড়ায় না,—এক কথায়, পণ্ডিত কবির অলঙ্কার-শাস্ত্র মন্থন করিয়| মে সুদীর্ঘরূপ বর্ণনা দ্বারা প্রাচীন বঙ্গ-সাহিত্যকে ভারাক্রান্ত ও অর্থশূন্য গুরুশদ ও উপমা দ্বারা বিড়ম্বিত করিয়াছেন, এই সকল পল্লীসাহিত্যে একেবারেই তদ্রুপ চেষ্টা বজ্জিত। সরল, অনাড়ম্বর, স্বভাবশিশুর ন্যায় পল্লী-কবিব| এই পরকিয়|-ভাণ্ডার পাইবে কোথায় ? তাহার এবং যে-সকল গায়েন এই সকল পালাগান গায়, তাহারা পল্লীর আনন্দে মশগুল ; তাছাদের শ্রোতার হাসি-কান্নার রেলে পল্লীর আসরকে জমাইয়। তোলে। কিন্তু তাহারা জানে, তাহার নিরক্ষর, যতই আনন্দ তাহার এই সকল কাব্যে পা’ক না কেন তাহারা জানে, সেই আনন্দ তাহাদের নিজস্ব, শিক্ষিত-সমাজ সেই সকল গানের আদর করিবেন, এরূপ দুরাশা তাহার। কখনই রাখে না। মৌলবী ও ব্রাহ্মণ পণ্ডিতগণ দুর দূর করিয়া তাহাদিগকে তাড়াইয় দেন, তাহার। যেখানে সভা করিয়া ফারসী বয়াৎ ও সংস্কৃত শ্লোক আবৃত্তি করিয়া সদৰ্পে ঘাড় নাড়িতে থাকেন, সে-পথে হাটবার স্পৰ্দ্ধা তাহার রাখে না,—তাহারা জানে না, অনুভূতির গাঢ়তাই প্রকৃত কাব্যের জন্মস্থান, তাহারা জানে না যে, অলঙ্কার-শাস্ত্রের কৃত্রিম চক্ষু র্যাহার ব্যবহার করেন, তাহার প্রাকৃতিক সুষমার সেরূপ পরিচয় পান না ; নগ্ন, নিৰ্ম্মল চক্ষে যাহারা প্রকৃতি দেখিয়া তাহা উপভোগ করিতে জানে, তাহারা স্বভাব সৌন্দৰ্য্যকে সেরূপ প্রত্যক্ষ করিতে পারে। তাহারা জানে, তাহারা উচ্চ