পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

혹 প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান “যে সবে বঙ্গেতে জন্মে হিংসে বঙ্গবাণী । সে সবার কিবা রীতি নির্ণয় না জানি ॥ মাতা-পিতামহ-ক্রমে বঙ্গেতে বসতি। দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি ॥ দেশী ভাষা বিদ্যা ষার মনে না জুয়ায়। নিজ দেশ ভেয়াগি কেন বিদেশে না যায় ॥” —নুর নামা । * যে সকল মুসলমান বঙ্গদেশের সন্তান হইয়াও বঙ্গভাষী-বিদ্বেষী, কবির তাহাদিগের প্রতি এই কড়া বিদ্রুপ। ডক্টর এনামুল হক এবং সাহিত্য-বিশারদ আবদুল করিম লিখিয়াছেন—“এই শ্লেষ শুধু পূৰ্ব্ব-বঙ্গীয় মুসলমানদের বঙ্গভাষা প্রীতি ঘোষণা করিতেছে না, বরং এখনও র্যাহার বাঙ্গালী মুসলমানের ঘাড়ে উর্দু চাপাইতে চাহেন, তাহাদের অদ্ভুত মানসিকতার প্রতি ইহা অতি তীব্র মন্তব্য ।” ডক্টর এনামুল হক আরও প্রমাণ করিয়াছেন যে,—“অল্প-সংখ্যক সৈয়দ, সেখ ও মোগল ছাড়া বাঙ্গালার বিপুল মুসলমান জনসাধারণ খাটি বাঙ্গালী এবং বাঙ্গলা ভাষাকেই প্রাচীনকাল হইতে মাতৃভাষারূপে গ্রহণ করিয়াছিলেন।” * * এই জনসাধারণ কাহারা ? ধীরে ধীরে ঐতিহাসিক গবেষণার ফলে প্রমাণিত হইতেছে যে, ইসলাম গ্রহণ করিবার বহুপূৰ্ব্বে অপরাপর বাঙ্গালীর সঙ্গে ইহাদের পূর্বপুরুষেরাও হেলায় লঙ্কা জয়’ করিয়াছিল। এই বাঙ্গালা দেশের অনেকাংশ পূৰ্ব্বে কলিঙ্গের অন্তর্গত ছিল এবং সেই প্রাচীন বাঙ্গালীরা ‘কলিঙ্গবাসী’ নামে পরিচয় দিয়া যাভা, বলি, সুমাত্রা প্রভৃতি দেশে উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছিল এবং পূৰ্ব্বভারতীয় দ্বীপসমূহে

  • আরাকান রাজ-সভায় বাঙ্গলা সাহিত্য —ডক্টর এনামুল হক ও সাহিত্য-বিশারদ আবদুল করিম প্রণীত—৯১ পৃঃ ।

١ : ۶ ه هس-د هـچنى * *