পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান ు oసె কিন্তু যখন ধৰ্ম্মভীরু এই দরিদ্র রমনী শুনিল, ব্ৰহ্মহত্যা করিয়া তাহার পুত্র এই সকল সম্পত্তি লুণ্ঠন করিয়াছে, তখন সে যে পুত্রের জন্ত টেকি পাড়িয়া, চরক চালাইয়া, প্রাণপণে খাটিয়াছে, যাহার চাদপনা মুখ দেখিয়া সে সকল জাল। ভুলিয়াছে এবং আত্মহত্যা করিতে গিয়া ফিরিয়া আসিয়াছে, সেই পুত্রের মুখ সে আর দেখিতে চাহিল না এবং “জন্মিয়াই কেন না মরিল”—এই কথা দুইটি বলিয়া সে মুখ ফিরাইল । তাহার তখন ভয়ানক জর হইল। এইখানে কবি তিনকড়ি কবিরাজের অবতারণা করিয়াছেন । অতি সংক্ষেপে কবি যে-সকল ছবি অঁাকেন, তাহা এখনকার ফেনানো, বাক্য-পল্লব-স্ফীত বর্ণনাগুলি হইতে কত পৃথক তাত কবি জামায়েতুল্লা-প্রদত্ত এই কবিরাজের মূৰ্ত্তি দেখিলে পাঠক বুঝিতে পরিবেন— “পহর তিন হাইট বাস্থ ষায় ত্বর-ত্বরি। তিনকড়ি যে মস্ত বৈদ্য পাইল তার বাড়ী। হঁাক ছাড়িয়া ডাকে বাস্থ কবিরাজ মশায় । আমার মা যে য়্যাহন্‌-তহন তোমার যাতি হয় ।” “তিনকড়ি কবিরাজ শুনি ধুতি-চাদর লইল চাদরের খুঁটের মধ্যে সব দাওয়াই বাইন্ধ লইল । হাতে লৈল বাঘা লাঠি, কঁধে লৈল ছাতি। তুলসী তলায় যাইয়া বৈদ্য ঠেকাইল তার মাথি । কিষ্টবগ্ন শরীরখালি, ভ্যাল-ভ্যালা তার গাও। খাটা খুটা লাফ-গোফ ফাটাফাটা গাও। কুত-কুতিয়া চায় কবিরাজ, গুডু-গুড়িয়া যায়। পাছে পাছে বাস্থ নাই উগু-উছটু খায়।