পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>○ R প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান এত বলি টোন বারুই কি কাম করিল। তার লাগি সারিন্দা এক বানাইতে লাগিল। বৈলাম গাছের সারিন্দা সে মন-পবনের বৈল । দাড়াইস্ সাপের রগ দিয়া তার বানাইল৷ ধলা ঘোড়ার ল্যাজের ছর, নোয়াস। গাছের লাস । সারিন্দা তৈরী হৈল দেখতে বড় খাস ॥ এমন গুণের গুণীন টোনা কি বলিব আর । ‘ভেলুয়া’ ভেলুয়া’ ডাকে সারিন্দার তার ॥ সারিন্দ। বাজায় ফকির চোখের জল ছাড়ি । পেটে নাই দান-পানি ফিরে বাড়ী বাড়ী ৷” বৈলাম গাছ যদি পাঠক ন জানেন, ইতিহাস-বিশ্রাত মন-পবন নামক উৎকৃষ্ট বৃক্ষের কাঠের কথ। যদি তাঙ্গর মা শুনিয় থাকেন, তবে বুঝিব, বাঙ্গালী বাঙ্গালার পল্লী ভুলিয়াছেন । আমির সদাগরের সারিন-বাদন - “পগলা ফকির সারিন্দা বাজায় ঘনে ঘন। ভেলুয়ারে ডাকি যেন কে করে রোদন। সুন্দরী ভেলুয়া তখন ঘরের বাহির হৈল। ছাদের উপরে গিয়া দেখিতে লাগিল ॥ ছিড়া কাণি পি ধারে তার, ছিড়া কাণি পিপ। ঘুরিয়া ঘুরিয়া ফকির বাজায় সারিন্দ। কটা তার মাথার চুল নম্বা মোচ-দাড়ি। সারিন্দা বাজায় ফকির চক্ষের জল ছাড়ি ॥” আখ্যান-বস্তু পড়িতে পড়িতে এই স্থানে আসিলে সাকুল্য বন্দরের স্বামী, মাণিক সদাগরের চোখের দুলাল, তরুণ আমির, যাহার রূপ-গুণ সে-দেশের