বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>こ切ー প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান করিয়া বিদ্রোহী হইয়াছে, উপরন্তু অনাহুতভাবে তাহার রাজধানী আক্রমণ করিয়া তাহার গুলালী কন্যা সখিনাকে বলপূৰ্ব্বক লইয়া গিয়াছে। এই ংবাদে সম্রাট বিষম ক্রুদ্ধ হইলেন। তিনি এক বৃহৎ বাহিনী ওমর খার সাহায্যার্থে কেল্লাতাজপুরে প্রেরণ করিলেন । অসমসাহসী ফিরোজ এই সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজকীয় ফৌজের সঙ্গে, স্বীয় শ্বশুরের বিরুদ্ধে সৃদ্ধ করিতে তাজপুর রণক্ষেত্রে উপস্তিত হইলেন । স্বামীর বীরত্ব-সম্বন্ধে সখিনার এতটা হাস্থ ছিল সে, তাহার পরাজয় তিনি কল্পনাও করিতে পারেন নাই । কিন্তু স্বামী পরাজিত হইয়। বন্দী হইলেন, এই সংবাদ জঙ্গলবাউীতে আসিয় পৌছিল । দাসী দরিয়৷ এই দুঃখের সংবাদ দিতে অতি সন্থপণে সখিনার শয্যাগুঙ্গে প্রবেশ করিল—সখিন। তখন তাহার স্বামীর বিজয়-সংবাদের আশায় উৎফুল্ল হইয় প্রতীক্ষা করিতেছিলেন । দরিয়াকে দেখিয়া তিনি বলিলেন— "শুন শুন দরিয়া গে। কহিযে তোমারে । তুল্য। আন চাপ ফুল মাল৷ গাখিবারে। লড়াই জিভ্য স্বামী আইলে মাল্য দিযু গলে। ওজুর পানি তুল্য রাখ সোনার গোছলে । আবের পাংখ্যা আইন্যা রাখ শয্যার উপরে। রণজিত্যা আইলে স্বামী বাতাস করমু তারে । ভাণ্ডে আছে আতর গোলাপ, অtলভ রাখিয়া । সোনার বাটায় সাজাও পান স্বামীর লাগিয়া ॥” কিন্তু সখিনা দেখিলেন, তাহার এই সোৎসাহ-বাক্যে দরিয়া সাড়। দিতেছে না, তখন তিনি বিস্ময়ে জিজ্ঞাস করিলেন— “আজ কেন দরিয়া তোর হাসি নাই মুখে ”