প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান '\9). S AASAASAA AAAA AAAA AAAASAAAA AAAA SAAAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA S AAA AAAS S AAAAA AAAAMMAMMMAM AAAASASASS সেই ভো সুখের কথা যখন হয় মনে । মদিনার বয় পানি অববার নয়নে ॥ খসম কাটে চারি আর আমি আনি পানি । দুইয়ে মেলি করি কাম আমি অভাগিনী ॥” পাঠক লক্ষ্য করবেন, এই মাসগুলির বর্ণনার মধ্যে প্রচলিত বারমাসীগুলির একঘেয়েমি নাই। চাষা-কবি কোন কবি-প্রসিদ্ধির ধার ধারেন না। তিনি কৃষকের বাস্তবচিত্ৰ দিয়াছেন । সাধারণতঃ বারমাসী গুলি বৈশাখ মাস হইতে আরম্ভ হয় । কোকিলের রা এবং আম্র-মুকুলের গন্ধের কথা দিয়া তাহা মুরু হয়। কিন্তু এখানে শুধু অগ্রহায়ণের নূতন ধান্তেই তাহাদের মঙ্গল-উৎসব । সেই দিনের কথাই মদিনার স্বাভাবিক ভাবে প্রথম মনে পড়ার কথা । এই গীতিকার অনেক কথা পাঠক বুঝিতে পারিবেন না। তাহ। আরবী, ফারসী, উর্দু, ও সংস্কৃত শব্দের প্রাচুর্য্যের জন্ত নহে। চাষারা— কি হিন্দু, কি মুসলমান, সকলেই ইহ! অনায়াসে বুঝিবে । কিন্তু যদি গুছি, জাল, অঝঝর, বাওয়া প্রভৃতি কথায় আসিয়া পাঠক ঠেকিয়া পড়েন, তবে তাহার জন্ত আমার কোন সহানুভূতি হইবে না । এই বঙ্গদেশের চোঁদ আন লোক চাষ-আবাদ করিয়া খায় তাহার কৃষক, তাহাদের নিত্য ব্যবহার্য্য কথাগুলি যদি আমরা না বুঝি, যদি তাহাদের এত কষ্টে তৈয়ারী নানারূপ চাউল দুই-সন্ধ্যা বিলাসের উপকরণের সহিত তৃপ্তির সঙ্গে খাইয়া জীবন রক্ষা করি, অথচ যাহার। মাথার ঘাম পায়ে ফেলিয়া আমাদের জীবন রক্ষার প্রধান জিনিষ উৎপন্ন করিয়া দেয়, এই বাঙ্গালা দেশে বসিয়া সেই বাঙ্গালার বেশীর ভাগ লোকের কথ। যদি আমরা না বুঝি, দেশের সঙ্গে যদি আমাদের এমন ভাবের নাড়ীচ্ছেদ হইয় থাকে, যদি নিজ দেশের জনসাধারণের ভাষা অভিধানে স্থান না দিয়া বাঙ্গলা অভিধানখানিকে সংস্কৃত كسسيد جن ج
পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৭০
অবয়ব