পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান ጏ ዓJ» . ৯। সোনাবিবি'র পালাটি সম্পূর্ণ আমার কাছে আছে, ইহার অল্প অংশ মাত্র ছাপা হইয়াছে। মামুদ ও তাহার স্ত্রী সোনার প্রেম-চিত্র পল্লী-কবি এইভাবে আঁকিয়াছেন— “সকল ছাড়িয়া মামুদ গৃহেতে বসিল। সোলার লাগিয়া মামুদ পাগল হইল। বাপ-আমলের খাট-পালঙ্গ, সাজুয়া বিছান। শয়ন করে মামুদ্র সঙ্গে লইয়া সোন ; কি জানি সোনার যদি ঘুম নাহি আসে। আবের পাংখা লইয়া মামুদ জুড়ায় বাতাসে। ঝিলিমিলি মশারী টাঙ্গ তবু মনে ভয়। মশার কামড়ে যদি ঘুম নাহি হয়। পিপড়ার কামড়ে পাছে গায়ে হয় চাকা । আপনি অঞ্চল দিয়া সাধু অঙ্গ দেয়রে ঢাকা । মধুর আলাপে নিশি গত হইয়া যায়। মামুদ ভাবে আজের নিশি কেনবা পোহয় ॥ ডেকনারে সোনার কোকিল বাচ্চায় দেওরে উম। তোমার ডাকে ভাইঙ্গ যাইব আমার সোনার ঘুম ॥ শোন শোল বনের দইয়াল দিওনারে শিষ। কঁাচা ঘুমে জাগলে সোনার মাথায় হৈবে বিষ ॥ বিয়ান বেলায় ভোমরারে কইয়া বুঝাই ভোরে। ফুলের ঘুম ভাঙ্গাওলা গুমুর গুমুর স্বরে। বাড়ীর পাছে বঁাশের ঝাড়ে নাচিছে খঞ্জন। বিভোলে শয্যায় পড়ি ঘুমায় প্রাণের সোনা।