বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

➢ ግ8 প্রাচীন বাঙ্গল) সাহিত্যে মুসলমানের অবদান দুই অ খি মুদিয়া কষ্ঠ বিভোলে ঘুমায়। দুই অাখি মেলিয়া মামুদ তিয়াসে তাকায় । বসনে ন ঘিরে অঙ্গ মামুদ ভাবে মনে মনে। কি জানি ছুইতে গেলে ভাঙ্গে, কঁাচ ঘুম। মাথার কেশ আউল ঝাউল শয্যর ভলে লুটে । বিয়ানের বাতাসে কন্যার মধু নিদ্রা টুটে। বাহুটি শিথানে কল্প শুইয়া নিদ্রা যায়। ভাঙ্গাইতে ন পারে মামুদ কি করে উপায় ॥ ধীরে ধীরে পুষ্পের কলি ফুট্য। যেমন উঠে। দুই নয়ন জড়াইয়া ঘুম আস্তে আস্তে টুটে। দুই বাস্থর আলিঙ্গনে সোনা নয়ন মেইল চায়। লাজে রাঙ্গা হৈল কন্যা সিন্দুরের প্রায় ॥ আউল কেশ তুইলা কন্যা ঝাইরা বান্ধে চুল। মুখ খানি যেমন সোনার ভোরের পদ্ম ফুল ॥ মুখে চুম্ব দিয়া মামুদ ঘরের বাহির হইল। তুয়ারেতে মা জননীকে দেখে লজ পাইল ॥” মামুদ স্ত্রীকে লইয়। এইভাবে পাগল—সে তাহার সমস্ত কাজকন্ম ছাড়িয়া দিল, দিন-রাত সোনা বিবির কথা, কি করিয়৷ তাকে সুখী করিবে এই চিন্ত । এত সোহাগের ভাষা পল্লী-প্রেমিক কোথায় পাইল, মনের কথা প্রকাশ করিবার এত সন্ধান তাকে কে দিল ? -- হাইট্যা যায়রে সোনা বিবি কলসী কাখে লৈয়। চাইয় থাকে মামুদ মিঞা হাতের কাজ থুইয়। যখন নাকি সোনা বিবি বাধে মাথার চুল। হাসিয়া হাসিয়া মামুদ তুল্য। আনে ফুল ॥