পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান ›ፃፃ পান পানি নয়রে তোমার সোনা লোকে লৈয়া যায়। নিশির নিয়ার লহে অ'চেভে শুকায় ॥ বনের পন্থী নয়রে সোনা উড়িবে পাখায়। ঘরের প্রদীপ নয়রে সোন ফুদিয়া নিবায়। ঘাটের পানসী নয়রে সোনা পরে বাইয়া নিবে। গাছের ফল নয়রে সোনা কণক কোয়েলে খাবে ॥” এই সকল কবিরা গ্রাম্য-জীবনের সঙ্গে কত ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত । একটা কিছু বলিতে হইলে তাহদের মুখে কত উপমাই না জোটে । বিদেশে যাইবার ভয়ে ও দোস্ত মোমিনের ভয়ে মামুদ হালবলদ কিনিয়া চাযে মন দিল, বাড়ীর কাছে ক্ষেত করিয়া বাড়ীতে থাকিবার উপায় বাহির করিল— “শাউনের দেওয়া ডাকে ঘন বহে ধারা । কত কষ্টদেয় দেখ শাউনের বাদর। আসমালেতে শাউনের দেব ডাকে গুমগুম | সোনারে লইয়। মমুদ পইরা দিল ঘুম। ভাদর মাসেতে দেখ সাপলা ফুল ফোটে। তবুও অভাগা ষাতুর নিন্দ নাহি টুটে ॥” এইরূপে আলস্তে ফসল নষ্ট হইল, দৈবদোষে বলদ যোড়া মারা গেল— অবশিষ্ট বলদ দুটি পীড়িত হুইয়া পড়িল । ইতিমধ্যে বসন্ত রোগে তার ম} মারা গেলেন— “গোষ্ঠে যাইতে দুগ্ধের গাভী পন্থে গেল মারা । দিন রাত মামুদ মিঞা কাইন্দ হৈল সার। নিশি রাইতে আগুনেতে বাড়ীখান জ্বলে। কড়ার ভিখারী মামুদ হইল এই কালে ॥ ১২→