বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌbre প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান SAASAASAASAASAASAASAASAAeMMAAA AAAA AAAA AAASA SSASAS SSAS SSAS SSAAAASA SAAAAS AAAAA AAAASAAAA AAAASAAAA AAAAA উন্মত্তের মত সে মোমিন দোস্তের বাড়ী যাইয়া বলিল—“বল, আমার সোনা কোথায় ? সে আমার বিরহে নিশ্চয়ই মরিয়াছে, তাহার কবর দেখাইয়া দাও।” “সেই কবরের মাটী আমি মাখ্যা নিজ গায়। দেওয়ান হইয়া যাইবাম্ যেখানে নয়ন যায়।” বন্ধুর মুখে মামুদ নিষ্ঠুর সত্য শুনিল। এই উপলক্ষে স্ত্রী-জাতের প্রতি কবি তাহার মনের ক্রোধ ব্যক্ত করিয়াছেন— “কেশেতে বান্ধিয়া রাখ, কর গলার মালা । নারীরে পত্যয় নাই, চোখে দিব ধূলা। হিয়ার মাঝে ভইরা রাখ পরাণ-কোটরায়। সময় পাইলে নারী ছাড়িয়া পলায়। সকল থেকে অবিশ্বাসী নারীর নয়ানে। ঘোমটা আড়ালে থাকে পুরুষ-সন্ধানে ॥ অজ্ঞান পুরুষ জাতি নারী পুষতে চায়। সাপ-ধর বাদিয়া যেমন কাল সাপ লইয়া খেলায়। কাল সৰ্প হইয়া নারী দংশিবে মাথায় । অঞ্চল আড়াল দিয়া পুরুষে তুলায়।” কিন্তু মামুদের প্রেম বিদেহী, ইন্দ্রিয়াতীত রাজ্যের প্রেম, তাহ সহজিয়াদের প্রেম, যে প্রেমের কথা চণ্ডীদাস বলিয়াছেন—“প্রণয় করিয়া ভাঙ্গায় যে, সাধন-অঙ্গ পায় না সে ।” সাংসারিক হিসাবে অবিশ্বাসিনীকে ছাড়িয়া অন্তজনকে লইয়া সংসার করা চলে, লোকে তাহাতে সুখীও হইতে পারে, কিন্তু তাহার ভাগ্যে প্রেম-সাধনায় সিদ্ধি হইবে না। মামুদ ছিল সেই প্রেম-রাজ্যের তপস্বী, চন্দ্র যেমন তাহার জ্যোছন কাটাবনেও বিতরণ