У о প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্য মুসলমানের অবদান
- সেকেন্দর নামা’র বঙ্গানুবাদ সঙ্কলন করেন । তাহার পরে আরও নান} মুসলমান কবি, বিশুদ্ধ ও শ্রুতি-মধুর ভাষায় বহু বাঙ্গলা কাব্য রচনা করিয়া ছিলেন। বিদেশের আবহাওয়া পাইয়া আমাদের বাঙ্গলা ভাষা নবী মণ্ডিত হইয়া উঠিয়াছিল । আমরা যথাস্থানে আবার বঙ্গ-সাহিত্যের এই দিকটার প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিব এবং চট্টগ্রামের পূর্বদিকের নিবিড় অরণ্যানী ভেদ করিয়া বাঙ্গলা ভাষা নাফ ও কর্ণফুলির তীর পৰ্য্যন্ত কি করিয়া এতটা আদৃত হইয়াছিল, তাহা দেখাইতে চেষ্টা করিব
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ সাম্প্রদায়িক কলহ এবং বাঙ্গালী জাতি একথা অস্বীকার করা চলে না যে, এদেশে এখন হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ পুরা মাত্রায় চলিতেছে। কিন্তু সমগ্রভাবে ভারতবর্ষের ইতিহাস চর্চা করিলে দেখা যাইবে, এই বিরোধের বিশেষ কোন গুরুত্ব নাই। এই দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও যুদ্ধ-বিগ্ৰহ চিরকালই চলিয়া আসিতেছে, তাহাতে জনসাধারণের আদর্শের ঐক্য ও ক্রমবহমান প্রগতির কোন গুরুতর অন্তরায় ঘটে নাই। ঋগ্বেদে আর্য্যঅনাৰ্য্যের যুদ্ধ-বিগ্রহ সম্বন্ধে যে-সকল স্বত্ত আছে, তাহা অভিনিবেশ সহকারে পাঠ করিলে দেখা যাইবে যে, এই যুদ্ধ-বিগ্ৰহ মূলতঃ দুই ভিন্ন জাতীয় লোকের মধ্যে সংঘটিত হয় নাই ; ইহা দুই ধৰ্ম্মমতের সংঘর্ষ-স্থচক। এই সকল যুদ্ধ ঠিক আৰ্য্য ও অনাৰ্য্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, আর্য ও অনাৰ্য্য উভয় পক্ষেই ছিলেন। প্রকৃত পক্ষে এই কলহ যাজিক ও যজ্ঞ