>bペ প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান ‘বনের সল্প খাইছে তারে বনেতে পাইয়া ॥ কঁ।দিলে সোনার দিও দুই আঁখি মুছায়া ॥” এই বলিয়া মামুদ যোড়হুস্তে আল্লার নিকট সোনা বিবির কল্যাণ প্রার্থনা করিয়া গদগদ কণ্ঠে আশীৰ্ব্বাদ করিল। তারপর— “ছেড়া কঁাথ বাইন্ধা মামুদ দেশস্তের বিদায় লয়। দেশ ছাড়িয়া জন্মের মত বৈদেশী যে হয়। মামুদের দুঃখে কান্দে বনে ? পাখ-পাখালী। আবের পাংখার তলে সোনা করে ঠাকুরালী। পন্থের পথিক যত মামুদে নেহালে । কাঞ্চ বয়সের ফকির ভাসে অশ্রুজলে ॥” তবুও কোন সময়ে চিত্ত ব্যথিত হয়, মামুদ অধীর হইয়া পডে— “তুই ন৷ আছিলি সোনা, আমার পরাণের পরাণ। বুকেতে পাতিয়া দিছি রাতির বিছান। ঘামেতে ভিজিলে অঙ্গ শীতল পানি দিয়া । আবের পাংখায় দিছি বাতাস ঘুমের লাগিয়া । এতেক সাধের সোনারে আমার, কি করিলা তুমি। তোর নাই যে দোষ সোন, সবব দোষী আমি।” যখন বুকের মধ্যে অসহ্য যন্ত্রন হয়, তখন હોટે প্রেমের-ফকির উদ্ধে হাত তুলিয়া বলে— “আল্লা, অামায় দেখাও পথ । যে পথেতে গেলে হবে আমার সঙ্গত ॥” এরূপ আর একখানি ছবি জগতের সাহিত্যে নাই। হিন্দুদের রচিত পল্লী-গীতিকায় শত শত নারী-চরিত্র আছে, যাহারা প্রেমের জন্ত সৰ্ব্ব
পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৯১
অবয়ব