ుని గి প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান ইহারা ফুটিয়াছে—বাঙ্গালার বিল ও পুষ্করিণীতে পদ্মরাণীর মত । ইহাদের তুলন। ভারতীয় অন্ত কোন প্রদেশের সাহিত্যে আছে বলিয়া আমার জানা মাই। পাশ্চাত্য সাহিত্যে এইরূপ আদশ-প্রেমের জীবন্ত-ছবি একখানাও দেখি নাই। হয়ত আমি প্রাচীন-পন্থী হইয়৷ পিছনে পড়িয়া আছি, অতিআধুনিক পাশ্চাত্য সাহিত্যের রস-বোদ্ধা গল্প-লেখকগণ আমার উপর চোখ রাঙ্গাইবেন, আমি নাচার কিন্তু তথাপি বলিতে একটুও কুষ্ঠিত হইব না যে, মামুদের চরিত্র-স্রষ্ট। স্ত্রীর প্রতি অনুরাগ—যাহ হীন-লালসাজাত নহে এবং যাহা কৃষক-কবি মিঞাজান ঋষির ন্তায় প্রেমের ব্রহ্মলোকে পৌছাইয়। দিয়াছেন – যুরোপের শ্রেষ্ঠ দার্শনিকও সই রাজ্যের নাগাল পাইবেন না। রাজ। আর্থার লষ্ট ও অনুতপ্ত রাজ্ঞীকে ক্ষমা করিতে পারেন নাই দূর হইতে আশিস্ জানাইয়াছেন । এবম্বিধ অবস্থায় যুরোপীয়-সাহিত্যে অধিকাংশ পুরুষ চরিত্রই অল্পবিস্তর নিৰ্ম্মমত দেখাইয়াছেন। কেহ কেহ আবার ওথেলোর মত পত্নীকে গল টিপিয় মারিয়। প্রতিশোধ লইয়াছেন । রোমান কবি ভাজিল তাহার নায়িক রাজ্ঞীকে দিয়া বলাইয়াছেন যে তাহার প্রতারক-প্রণয়ীর যদি তিনি দেখা পান, তবে তাহাকে নিজ হাতে হত্য। করিলে তিনি সুখী হইবেন, কিন্তু সে মৃত-মায়কের পদতলে তিনি প্রাণত্যাগ করিবেন। শেষ মুরটার একটু আমেজ দিয়া তিনি ভালবাসার রীতি রক্ষা করিয়াছেন। মেটার লিঙ্কের প্রেমিক নায়ক স্বীয় স্ত্রী মিসেলেণ্ডার সঙ্গে কনিষ্ঠ ভ্রাতার গুপ্ত-প্রেম আবিষ্কার করিয়৷ ক্ষমাশীলতার ভাণ করতঃ তাহাকে হত্য কবিয়া ফেলিয়াছেন । এনাকারেনিনার স্বামী সাধারণ স্বামীদের অনেক উদ্ধে উঠিয়াছেন, কিন্তু প্রেমের আনন্দ-লোকে টলষ্টয়ও পৌছিতে পারেন নাই । বাঙ্গালা দেশের কবির জানেন, প্রেম জ্যোমার মত—তাহা নিৰ্ব্বিচারে যেখানে সেখানে পড়ে, কলঙ্ক দেখিয় তাহা নিজের সত্তা নিজের আত্মবিস্তুত
পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৯৯
অবয়ব