বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান ) సె') স্বতঃসিদ্ধ পবিত্রতা হারায় না, ভাগীরথীর মত সে যে-দিকে ছুটিয়াছে, সংসারের সামাজিক পৰ্ব্বত-প্রমাণ বাধা-বিঘ্ন তাঙ্গর গতি ফিরাইতে পারে মা । প্রেম গুণাগুণ জানে না, দোষ দেখিয়া ছাড়ে না, ছাড়িতে পারে ন— তাহা তাহার প্রাণের অঙ্গীয় হইয়। যায় । ১১ । দমু্যদের জীবনের শেষ-পরিণতি ও অনুতাপ যে কি ভীষণ, তাহ নিজাম ডাকাত ও কেনারাম দস্থ্যর ব্যবহারে দেখা গিয়াছে। কেমারাম তাঙ্গার লুষ্ঠিত সাত ঘড়া মোহরের এক ঘড়া গুরু কর্তৃক উপেক্ষিত হষ্টলে, তখন উদ্ধে চাহিয়া, সাশ্রনেত্রে তাই এক একটি করিয়া ফুলেশ্বরী নদীর জলে নিক্ষেপ করিল এবং নরহত্য কলঙ্কিত নিজের হাত নিজে কামড়াইয়। রক্তাক্ত করিয়া ফেলিল, তখন সেই দৃপ্ত ভুলিবার নহে । বাঙ্গালীর যুদ্ধ-জাহাজগুলি কিরূপ ছিল, তাহা ভেলুয়ার মুসলমান কবি বর্ণনা করিয়াছেন— “এই সকল কথা সাধু কিছু ন শুনিল । “ডিঙ্গা সাজ, ডিঙ্গা সাজা হুকুম করি দিল ॥ প্রথমে সাজায় ডিঙ্গা নামেতে বালাম যাত্রাকালে সেই ডিঙ্গায় লইত আল্লার নাম । তারপরে সাজায় ডিঙ্গা নামে হাইল কাইল । সে.ডিঙ্গয় লৈল সাধু খোরাকির চাইল ডাইল ॥ তারপরে সাজায় ডিঙ্গা নামে হুড়মুড়ি সে না ডিঙ্গায় লইল তুলি হলদী মরিচের গুড়ি। তারপরে সাজায় ডিঙ্গা নামেতে সিন্ধুক । সে না ডিঙ্গায় আছে সাধুর কামান বন্দুক । তারপরে সাজায় ডিঙ্গা নাম তার হোলা । সে না ডিঙ্গায় লৈল সাধু বারুদ আর গোল।