বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান ఏ5 অনেকগুলির নাম ও আকৃতির প্রতিলিপি ‘পুৰ্ব্ব বঙ্গ-গীতিকা’র ২য় খণ্ডে ২য় সংখ্যায় (৯৭ পৃঃ) দেওয়া আছে। প্রেমের প্রসঙ্গে চাষী-কবিদের লক্ষ্য এত স্থল্ম যে, তাহা আমাদিগকে বিস্মিত করে। সে-সকল বর্ণনা অদ্ভূতরূপে মৌলিক ও দেশের খাটি পরিচয়-জ্ঞাপক। এই সাহিত্যে ধারকর কিছু নাই। চাষী-কবিদের সাহিত্য সম্পূর্ণরূপে অঋণী, সংস্কৃত বা অন্ত কোন সাহিত্যের অলঙ্কার শাস্ত্র বা আইন-কানুন ইহাদের গণ্ডীতে পৌছে নাই। এই জন্তই ইহা এত মৌলিক ও দেশজ-সৌন্দর্য্যে মণ্ডিত । “হাটে যাইতে, ঘাটে যাইতে এপারে সেপারে। বঁধু খাড়াইয়া ভাইরে, সদাই আঁখি ঠারে। মাছ মারিতে আইসে বঁধু গোয়াল দীঘীর ঘাটে। আইঠা (এটো) হাতে সুন্দরী কন্যা আড়ে চাইয়া থাকে। গাঙ্গের ঘাটে যায়রে কন্যা সিনান করিবারে। ভরা কলসী উপুর কইরা কন্যা যায় জলে ॥ যদি সঁতার দেয়রে বন্ধু পানিতে নামিয়া। বঁধু নাকি ডুবা মরে আকুল ভাবিয়া । বঁধুয়া যায় হাওয়া খাইতে, সুন্দরী জলেভে । আস্মানের চাদ যেন গইলা ভূঞে পড়ে। এইপারে সেইপারে হয় আঁখির মিলন। জ্যোনি পোকা আর চাদের রাত্রে দরশন। চোখে চোখে আলাপন উভয়ের হাসি । আমার হাসি লইছে বন্ধু হৃদ-পিঞ্জরে গাঁথি। নয়নের পরিভি বঁধু কষেছে নয়নে। একদিন তো না দেখা হইল বয়ালে বয়ানে।