বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান × ov$ এই মৰ্ম্মে গীতিকাগুলির কথা বলিয়াছেন—“বাঙ্গালীর যে পরিমাণে এই গাথা-সাহিত্যের মৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া তাহাদের সমাজ গঠন করিতে পারিবে, ততখানি তাহারা উন্নতির পথে অগ্রসর হইতে পারিবে এবং কুসংস্কার কৃত্রিমতার হাত হইতে উদ্ধার পাইয়া শুধু সাহিত্যে নহে— জীবনেও মুক্তির আনন্দ উপভোগ করিতে পরিবে, গীতিকাগুলি শুধু কাব্য বা ইতিহাস পড়ার কৌতুহল পূর্ণ করে না, ইহা জীবন্ত-সাহিত্যের প্রেরণা দিতে সমর্থ।” [The measure of Bengal’s appreciation of these ballads, not as mere historical or literary curiosities —but as living literature will be some index of the extent to which her spirit is escaping from the trammels of artificiality in its effort to express itself. not only in literature but in life. J # পূৰ্ব্বকালে সংবাদ-পত্রের বালাই ছিল না, তথাপি কোন বড় ঘটনা হইলে তাহ অল্প-সময়ের মধ্যে দেশের সর্বত্র প্রচারিত হইত। এই প্রচার কাৰ্য্য চালাইতেন গ্রাম্য কবিরা । হিন্দুদের মধ্যে ভাট শ্রেণীর ব্রাহ্মণের এইরূপ গ্ৰাম্য ছড়া বাধিয়া দেশময় গাহিয়া ফিরিতেন, বানিয়াচঙ্গের ( শ্রীহট্ট ) ভাটেরা এবিষয়ে প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াছিলেন, তাহাদের কতকগুলি গীতিকা আমি শৈশবে শুনিয়াছি । “বরিশাল কীৰ্ত্তিপাশা গ্রামের রাজা রাজকুমারকে তাহার প্রধান কৰ্ম্মচারী বিষ-প্রয়োগে হত্যা করিয়াছিলেন, জমিদার তাহার নিকট হিসাব-নিকাশ চাহিয়াছিলেন, এই বিপদ এড়াইবার জন্ত পাত্র মহাশয় বিষের-সরবৎ পান করাইয় প্রভুকে হত্যা করেন । পুলিশের হাত হইতে উদ্ধার পাওয়ার জন্য তিনি সুন্দরবনের জঙ্গলে পলাইয়া

  • “Englishman 7th Feb. 1934.