প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান ২ o৯ নৌকা-নারা তল পৈল কে করে সন্ধান। শত শত মরি গেল মগ-মুসলমান ॥ হিন্দু লাঠিয়াল মৈল, ভাসি গেল লাঠি। মগে ন পাইল আগুন, মুসলমানে মাটি ॥” এক প্রহর রাত্রির পর তুফান থামিয়া গেল, মাঝিমাল্লা কোথায় ভাসিয়া গিয়াছে তখন সেই বিভীষিকার চিত্ৰপট উত্তোলন করিয়া কবি কাব্যের প্রধান নায়ক সায়াদের প্রাণ-রক্ষার সংবাদ দিয়া আমাদের উৎকণ্ঠ দূর করিলেন— “আঁধার রাইভ আসমালেতে উঠল সোনার চাদ ॥ চাটুর্গাইয়া মাঝি সায়াল বাচা গেছে।” যুদ্ধের বর্ণনা বহু বিস্তৃত, কিয়দংশ উদ্ধত করিতেছি— “প্রথমে চলিল 'ভুলব লইয়া কণমান। দুরে থাকি দেখা যায়রে পাঙ্গড়ের পরমাণ ॥ আর এক জাহাজ চলে গোলা-বারুদ লৈয়া । তার পাছে চলে ফৌজ ঘরাবে চড়িয়া। *ঘরাবের পাছে বাধা জলেবা’র বসি । পাছেভে বসিয়া মাঝি হালধরে কষি ॥ মগের জলেবা নৌকার কি করি বর্ণন। সাগ7রতে চলে যেন হাসের মতন ॥ জোয়ারের ওক্ত হইছে, মাথায় সুরুজ খাড়া । দুই দিক থলে বাজনা বাজে কাড়া আর নাগড়া ॥ শেষ ভাটায় গাঙ্গের পানি অলছ ভলছ করে। মগের বহর আইল তখন শঙ্খমুখের চরে। سس-8ھ
পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/২১৮
অবয়ব