প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান Rసె manly thou mayest be among men.” (*oto otos তুমি যতই পুরুষকার দেখাও না কেন, ধৰ্ম্ম-রাজ্যে প্রবেশ করিতে হইলে তোমার নারী সাজ ভিন্ন উপায়ন্তর নাই । ) ডক্টর এনামুল হক্ বলেন—“ভারতীয় সুফীদের মধ্যে এক শ্রেণীর সাধক আছেন। যাহারা পুরুষ হইয়া রমণীজনোচিত অলঙ্কার পরেন এবং স্ত্রীভাবে ভগবানকে ভজনা করেন। মুসলমানদের মধ্যে এই সম্প্রদায়ের নাম—‘সদাসোহাগ সুফী’ ” এই ভজনা-পদ্ধতি কাহার নিকট কে গ্রহণ করিয়াছিল, সে বিচারে প্রয়োজন নাই। বৌদ্ধ-সমাজে উত্তরকালে স্ত্রীলোক লইয়া যেরূপ ঘাটাঘাটি হইয়াছিল তাহাতে অনুমান হয় এই ভজন পদ্ধতির আদিস্থান বৌদ্ধতীর্থ ; সুফী ও সহজিয়া উভয় সম্প্রদায়ই সেই তীর্থের নিকট ঋণী। নারী-ভজন ভিন্ন সিদ্ধিলাভ হয় না, সহজিয়ার এই মত প্রচার করিতে যাইয়। বৈষ্ণব-গুরুদের প্রতি পরকিয়া প্রেমের সাধন আরোপ করিয়াছেন । র্তাহারা প্রকাষ্ঠভাবে লিখিয়াছেন— ‘চণ্ডীদাস রামীকে, বিল্বমঙ্গল চিন্তামণিকে, বিদ্যাপতি লছিম। দেবীকে আশ্রয় করিয়! সাধন করিয়াছিলেন।” ইহারা-রূপসনাতন, মীরাবাই, কৃষ্ণদাস কবিরাজকেও পরকিয় প্রেমিকরূপে দাড় করাইয় তাহাদের প্রেমের পাত্র-পাত্রীদের নাম করিয়াছেন । চৈতন্যদেবকেও তাহার। বাদ দেন নাই। মুফী-লেখকেরাও এইভাবে রমণী-প্ৰেমমুগ্ধ সাধুদের একটা তালিকা দিয়াছেন— “বেশুকুলে ছিল নারী মৈক্ষ শকনাবাত। ভক্ত হৈল দেওয়ান হাফেজ অধিক তাহাত । হালওয়ালি স্থত ছিল মোবারক সুন্দর। ভক্ত হৈল তার রূপে বু-আলি কলন্দর। রূপবিনা প্রেম নাই, প্রেমবিনা ভক্তি। ভাববিলা লক্ষ্য নাই, সিদ্ধিবিলা মুক্তি ॥* 粤 জানসাগর i
পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৩৮
অবয়ব