বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

このb" প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান রাত্রি উপবাসী হইয়া চিতাভষ্মের উপর পড়িয়াছিল। ঋষিতুল্য সৰ্ব্বজনপূজ্য ব্রাহ্মণ গৰ্গ ইহাকে শ্মশান হইতে তুলিয়া লইয়। তাহার গা নামাবলী দিয়া মুছিয়া স্বীয় পত্নী সাবিত্রীর হস্তে সমর্পণ করেন। তথায় বালক কঙ্ক ‘সুরভি নামক একটি গরু চরাইত এবং অতি সুমিষ্ট স্বরে বঁাশ বাজাইত। গর্গ পণ্ডিত--অপুৰ্ব্ব মেধাবী দেখিয়৷ ইহাকে সংস্কৃত ও বাঙ্গল শিক্ষা দেন। অনতিক্রান্ত-কৈশোরে এই বালক মলয়ার বারমাসী' নামক এক কাব্য লিখিয়া সমস্ত ময়মনসিংহ অঞ্চলে প্রসিদ্ধি লাভ করে | * এই সময়ে বিপ্র গ্রামে এক মুসলমান পীর আগমন করিয়া গ্রামের এক প্রান্তে আস্তান করেন । ইহার অনেক অলৌকিক শক্তি ছিল । ইহার সঙ্গে পঞ্চ শিষ্য থাকিতেন -- “সাকরেত লইয়৷ পঞ্চ, পীর একজন। গো-চারণ মাঠে আসিয়া দিল দরশন ॥ বট গাছের তলখানি চাছিয়া ছুলিয়। বাস করে পীর তথা দরগা স্থাপিয়।। নামে ডাকের পীর, তার বড় হেকমত। ধূলা দিয়া ভাল করে আইসে রোগী যত। অন্তরের কথা নাহি দেয় বলিবারে । আপনি কহিয়া যায় অতি সুবিস্তারে। মাটী দিয়া বানায় মেওয়া কিবা মন্ত্র বলে। শিশুগণে ডাকি তবে হস্তে দেয় তুলে। অবাক হইল সবে দেখি কেরামত । দর্শন মানসে লোক আইসে শত শত ॥ ও মলয়ার লারমাসী’ অtংশিকভাবে পাওয়া গিয়াড়ে ।