পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান 82 “নানামত ভাবি তারা উপায় করিল। সাপের চোখেতে যেন ধূলা-পড়া দিল ॥ রটে—কঙ্ক নহে শুধু চণ্ডালের স্থত। মুসলমান পীরের কাছে হয়েছে দীক্ষিত ॥ হিন্দুযত গণে কঙ্কে মসলমান বলি। কেহ ছেড়ে, কেহ পোড়ে সত্যের পাঁচালী ॥ জাতি গেল মুসলমানের পুথি লিয়া ঘরে। যথাবিধি সবে মিলি প্রায়শ্চিত্ত করে ॥”+ শুধু ইহাই নহে, তাহার কঙ্গের চরিত্রে মিথ্যা কলঙ্ক আরোপ করিয়া গর্গকে সন্দিগ্ধ করিয়৷ তুলিল । দারুণ অনুতাপে গর্গ উন্মত্তের মত কঙ্ককে বিষ প্রয়োগে হত্যা করিতে চেষ্টা করিতে লাগিলেন, কারণ শত্রুপক্ষ প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিল যে, তাহার প্রাণ-প্রতিমা কন্যার প্রতি কঙ্ক আসক্ত । এই মিথ্যা কলঙ্ক কথায় গর্গ একেবারে বুদ্ধিহার হইলেন । বিষাক্ত খাদ্য লীলা ফেলিয়া দিল, কিন্তু তাহ খাইয়। বাড়ীর সুরভি গাভীট মারা গেল। লীলা কঙ্ককে বলিল—“তুমি এখনই এই পাপ-স্থান হইতে পলাইয়া যাও ” সেই ভীষণ রাত্রে কঙ্ক নিরাশ ও দুশ্চিন্তার চরমে পৌছিয়া বাহির ঘরের আঙ্গিনায় পড়িয়া রহিল। রাত্রে সে স্বপ্ন দেখিল— সে ষেন নরকাগ্নিতে দগ্ধ হইতেছে। বিকৃতাকৃতি যমদূতগণ তাহাকে পোড়াইতেছে। কিন্তু এক ‘রক্ত গৌর-বরণ স্বপুরুষ বৈকুণ্ঠের বাতাস তাহার গায়ে লইয়া আসিয়া তাহার সমস্ত জাল জুড়াইয়া দিলেন। তিনি কঙ্ককে ইঙ্গিত করিয়া তাহার নিকট যাইতে বলিয়। অদৃষ্ঠ হইলেন। ইনি দেব-মানব চৈতন্ত । ঘুম ভাঙ্গিলে কঙ্ক তাহাকে দেখিতে তৎ-চরণ-নুপুর

  • ২৬৬ পৃঃ পূর্ববঙ্গ গীতিকা—প্রপম পণ্ড, ২য় সংখ্য ।