& 8 প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান করিয়াছেন এবং সংস্কৃতছন্দগুলি এরূপ নিপুণতার সহিত বাঙ্গলা-ভাষায় গ্রন্থন করিয়াছেন যে—“আশ্চৰ্য্য আশ্চৰ্য্য-- এই কথা বলিয়া আমাদের সমালোচনার প্রবৃত্তির নিবৃত্তি করিতে হয় । মাঝে মাঝে সংস্কৃত-শ্লোক দিয়া নূতন অধ্যায়ের মুখবন্ধ করিয়াছেন, যথা— “মূৰ্খস্ত প্রতিমা দেবাঃ বিপ্র দেব হুতাশন । যোগিনাং প্রমথঃ দেবঃ দেব দেব নিরঞ্জন ৷” আলোয়াল আরবী, ফারসী প্রভৃতি ভাষায়ও অসাধারণরূপ প্রাজ্ঞ ছিলেন ; কিন্তু তিনি অকারণে বিদেশীয় ভাষার শব্দ দ্বারা বাঙ্গল ভাষার ঐ নষ্ট করেন নাই। এই কাব্যে তাহার কবিত্ব-শক্তির যথেষ্ট পরিচয় আছে। কিন্তু উহাতে অধ্যবসায়শাল পাণ্ডিত্য যতট, কবিত্ব ততটা নাই । এই কাব্যের সংস্কৃতাত্মক পদসমূহের নমুনা কিছু কিছু এখানে দিতেছি— ー>一 “আসিল শরৎ ঋতুনিৰ্ম্মল আকাশে। দোলায় চামর কেশ কুসুমবিকাশে ॥ নবীন খঞ্জন দেখি বড় হি কৌতুক। উপজিত দামিনী দম্পতি মনে সুখ ॥ সুগন্ধী চন্দনে লেপিয়া কলেবর। কুসমিত শ্বেতশয্যা অতি মনোহর।” ーミー “যুবজন হৃদয়, আনন্দে পরিপূরিত, রঙ্গলীলা মল্লিক। মালতী-মালে। মধু সেনাপতি সঙ্গে, মদন মেদিনী-পতি, বাহিনী কোরক নব পল্লব-পূর্ণিত। নবদন্ত কেশর, চামরিণী সৌরভে ভুবনবিজয়ী চিত্ত, যুবক শাসিত ”
পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৬৩
অবয়ব