পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান ጫ(: শয়ন মন্দিরে রায়, বৈকালিক নিদ্রা যায়, সহচরী চামর চুলায়। রাণী আইসে ক্ৰোধ মনে, নূপুরের ঝন ঝনে উঠে বৈসে বীরসিংহ রায় ।” এ-যেন দেও-দৈত্যের সমাজ হইতে মনুষ্য-লোকে অবতরণ । (৭) মোহাম্মদ রফীউদ্দিন-ইহার রচিত ‘জেবল মুলুক শামারোখ’—পল্লী-কথা লইয়! প্রেম কাব্য । ১৬৭৩ খৃঃ অব্দে মোহাম্মদ আকবর যে কাব্য লিখিয়ছিলেন, সেই বিষয় লইয়: ইনিও কাব্য রচনা করেন, কিন্তু তাহার রচনার কোন তারিখ পাওয়া যায় নাই সুতরাং কে আগে কে পরে লিখিয়াছেন—তাহ নিৰ্ণয় কর কঠিন । ৮) শের রাজ—ইহার দুইখানি কাব্য পাওয়া গিয়াছে—একখানির নাম ‘মল্লিকার হাজার সওয়াল’—ফারসী “ফক্কর নামা’ অবলম্বনে লিখিত এবং অপরখানি "কাসেমের লড়াই”—অবশু কারবালার ব্যাপার লইয়া লিখিত । (৯) সেখ সাদী—ইহার ‘গদা মল্লিকার পুথি”—সেই ’ফক্কর নাম অবলম্বনে লিখিত । ইহা শের রাজের কাব্যের মতই আর একখানি পুথি । (১০) আবদুল আলীম – ইহার “হানিফার লডাই--সেই এজিদ, সেই ইমাম হুসেন, সেই কারবালা—এই প্রসঙ্গ পুরাতন হইয়া নিত্য নুতন অএর অর্ঘ্য পাইয়া চিরজীবস্ত হইয় উঠিয়াছে। (১১) আবদুল হাকীম—ইহার রচিত ’লালমতী সয়ফুল মুলুক’ বটতল হইতে ছাপা হইয়াছে। তাহা ছাড়া ইউসুফ জোলেখা ও ‘নূর নামা তিনি প্রণয়ন করেন। তাহার প্রকাশিত কাব্যখালি