বর্ণের ভার্যাকে লইয়া ধর্মকার্য করিবে। তবে শূদ্রা ভার্যাকে লইয়া দ্বিজ ধর্মকার্য করিবে না—
সবর্ণাষু বহ্বীষু ভার্যাষু বিদ্যমানাসু জ্যেষ্ঠয়ৈব সহ ধর্মকার্যং কুর্যাৎ। মিশ্রাসু চ কনিষ্ঠয়া অপি সমানবর্ণয়া। সমানবর্ণাভাবে ত্বনন্তরয়া। ন ত্বেব দ্বিজঃ শূদ্রয়া। ঐ, সম্ভুয়সমুত্থানাদি দশপদ কাণ্ডম্, পৃ ৩৯৭
বরদরাজ উদ্ধৃত করিয়া দেখাইয়াছেন যে, নারদের মতে পিতার দিকে সপ্তম ও মাতার দিকে পঞ্চম ব্যবধান না হইলে সগোত্রা ও সমানপ্রবরা কন্যা বিবাহ করা চলিবে না—
আসপ্তমাৎ পঞ্চমাচ্চ বন্ধুভ্যঃ পিতৃমাতৃতঃ।
অবিবাহ্যাঃ সগোত্রাশ্চ সমানপ্রবরাস্তথা। ঐ পৃ ৩৭৬
যাজ্ঞবল্ক্য হইতে এই মত তিনি উদ্ধৃত করিয়াছেন,—
পঞ্চমাৎ সপ্তমাদূর্দ্ধং মাতৃতঃ পিতৃতস্তথা। ঐ
বসিষ্ঠ হইতেও উদ্ধৃত করিতেছেন,—
পঞ্চমীং মাতৃবন্ধুভ্যঃ সপ্তমীং পিতৃবন্ধুভ্যঃ। ঐ
কণ্ব বলেন, ক্ষত্রিয়ের পক্ষে মাতার দিকে তৃতীয় এবং পিতার দিকে পঞ্চম হইলেই কন্যাকে বিবাহ করা যায়—
তৃতীয়াৎ ক্ষত্রিয়ো মাতুঃ পঞ্চমাৎ পিতৃতঃ পরাম্। ঐ
ব্যবহারনির্ণয় তাই বলেন, কণ্বের এই বচনবলে মাতার দিকে তৃতীয়া ও পিতার দিকে পঞ্চমী বিবাহের কথা যে পৈঠঈনসি বলিয়া গিয়াছেন তাহা ক্ষত্রিয়াদির পক্ষেই প্রযোজ্য—
এতৎ কণ্ববচনবলাৎ মাতৃতস্তৃতীয়াং পিতৃতঃ পঞ্চমীমিতি পৌঠীনসিবচনং ক্ষত্রিয়াদিবিষয়ং দ্রষ্টব্যম্। ঐ
তাহার পর সুমন্তুর মত দিয়াছেন— পাঁচ ও সাত পুরুষ ব্যবধান না থাকিলে কন্যা বিবাহযোগ্যা হয় না—
কন্যা আপঞ্চমাদাসপ্তমাচ্চাবিবাহ্যা ভবন্তি। ঐ
যে কন্যাকে পণ দিয়া সংগ্রহ করা হইয়াছে তাহাকে পত্নী না বলিয়া দাসীই বলা উচিত। যমস্মৃতি বলেন, পণক্রীতা কন্যা দৈব ও পিত্র্যকর্মের অযোগ্য, কারণ সে দারা বলিয়া অভিহিত হইলেও দাসীমাত্র, যে হেতু পণ দিয়া তাহাকে আনা হইয়াছে—