নারদ আরও বলেন, যদি পতির বীর্য শক্তিহীন হয় এবং তাহার প্রতিকার হইবার উপায় না থাকে তবে এক বৎসর প্রতীক্ষা করিয়া নারী অন্য পতিকে বিবাহ করিবে—
আক্ষিপ্তে মোঘবীজে চ পত্যাবপ্রতিকর্মণি।
পতিরন্যঃ স্মৃতো নার্যা বৎসরং সংপ্রতীক্ষ্য তু। পৃ ৩৮১
আর-একটি বিধানও এখানে ব্যবহারনির্ণয় উদ্ধৃত করিয়াছেন (নারদীয় মনুসংহিতা, পৃ ১২৮)। পরস্ত্রীর নিকট পুরুষ হইলেও নিজের পত্নীতে যদি কেহ পুরুষত্বহীন হয় তবে তাহার স্ত্রী অন্য স্বামীকে বিবাহ করিতে পারে। কারণ প্রজাপতির এই বিধান—
অন্যস্যাং যো মনুষ্যঃ স্যাদমনুষ্যঃ স্বঘোষিত।
লভেত সাঽন্যং ভর্তারমেতৎ কার্যং প্রজাপতেঃ॥ পৃ ৩৮১
নারদীয় মনুসংহিতায় আরও দেখা যায় (১২, ১৯; পৃ ১২৮), নারী হইল ক্ষেত্র, পুরুষ হইল বীজবান্ বা বীজী। বীজ যাহার আছে ক্ষেত্র সেই পাইতে পারে। অবীজী ক্ষেত্র পাইবে কেন? তাই যদি পতি বীজহীন হয়, তবে পিতা স্বয়ং আবার সেই কন্যাকে অন্য বরের কাছে সম্প্রদান করিবেন, পিতার অনুমতিতে মাতাও দান করিতে পারেন। প্রয়োজন হইলে মাতামহ, মাতুল, সকুল্য বা বান্ধব যেকেহ কন্যাকে এইরূপ ক্ষেত্রে দান করিতে পারেন। ইহারা কেহ না থাকিলে মাতাই দিবেন। মাতা যদি অপ্রকৃতিস্থা হন তবে যে-কোনো স্বজাতি এই সম্প্রদান করিতে পারেন—
অপত্যার্থে স্ত্রিয়ঃ সৃষ্টাঃ স্ত্রী ক্ষেত্রং বীজবান্ পুমান্।
ক্ষেত্রং বীজবতে দেয়ং নাবীজী ক্ষেত্রমর্হতি।
পিতা দদ্যাৎ স্বয়ং কন্যাং মাতা বানুমতে পিতুঃ।
মাতামহো মাতুলশ্চ সকুল্যা বান্ধবাস্তথা।
মাতাভাবে তু সর্বেষাং প্রকৃতৌ যদি বর্ততে।
তস্যামপ্রকৃতিস্থায়াং দদ্যুঃ কন্যাঃ সজাতয়ঃ। পৃ ৩৮২
কাত্যায়ন বলেন, ঘটনাক্রমে বর যদি অন্যজাতীয়, পতিত বা ক্লীব হয়, বর যদি পাপাসক্ত, সগোত্র, চিররোগী, দুঃসাধ্যরোগী হয়, ভর্তা যদি পৌরুষলক্ষণহীন ক্লীব হয়, তবে বিবাহিত হইলেও কন্যাকে সর্বাভরণভূষণা করিয়া যোগ্য অন্য বরের কাছে সম্প্রদান করিতে হইবে। এখানে ‘উঢ়া’ পদ ব্যবহারের দ্বারা কাত্যায়ন বুঝাইয়াছেন যে, কন্যার যদি বিবাহ-অনুষ্ঠান সম্পন্ন হইয়া থাকে তবুও