গর্ভজাত সন্তান থাকে, তবে তাহাদের মধ্যে ধনবিভাগ কি ভাবে হইবে তাহা বরদরাজ মনু হইতে (৯. ১৫২) উদ্ধৃত করিয়াছেন (পৃ ৪২৮) এবং বৃহস্পতির ব্যবস্থাও দেখাইয়াছেন (ঐ)। বিষ্ণু বলেন, সর্বত্রই আনুলোময়ে জাত পিতার এক পুত্র পিতার সমগ্র ধন পাইবে—
সর্বত্রানুলোম্যেন জাতঃ পিতুরেকঃ পুত্রঃ পিত্র্যং সর্বং ধনমর্হতি। পৃ ৪২৯
দেবলও এই কথাই বলেন—
আনুলোম্যেকপুত্রস্তু পিতুঃ সর্বস্বভাগ্ভবেৎ।
শূদ্রাতে জাত আনুলোম্য পুত্রের পক্ষে এই বিধি চলিবে না (ঐ)—
শূদ্রায়াং জাতপুত্রব্যতিরিক্তবিষয়মিদম্। (ঐ)
বৃহস্পতি বলেন, দ্বিজাতির যদি মাত্র শূদ্রকন্যাতে এক পুত্র হয় তবে সেই পুত্র অর্ধ ভাগ পাইবে—
দ্বিজাতেঃ শূদ্রায়াং জাতস্ত্বেকঃ পুত্রোঽর্দ্ধভাগিতি বৃহস্পতিঃ। ঐ
বিষ্ণুও বলেন—
দ্বিজাতীনাং শূদ্রস্ত্বেকঃ পুত্রোঽর্ধহরঃ। ঐ
দেবল বলেন, ব্রাহ্মণের যদি শূদ্রপত্নীর গর্ভজাত সন্তান থাকে তবে পিতার মরণে সে এক-তৃতীয়াংশ ও শ্রাদ্ধাধিকারী সপিণ্ড সকুল্যেরা দুই-তৃতীয়াংশ পাইবে—
নিষাদ একপুত্রস্তু বিপ্রস্য দ্ব্যংশভাগ্ভবেৎ।
দ্বৌ সপিণ্ডঃ সকুল্যো বা স্বধাদাতা তু সংহরেৎ। পৃ ৪৩০
শূদ্রের যদি দাসীগর্ভজাত পুত্র থাকে তবে সেও পিতার ধনের অংশ পাইবে—
দাস্যাং বা দাসদাস্যাং বা যচ্ছূদ্রস্য সুতো ভবেৎ।
সোঽনুজ্ঞাতো হরেদংশমিতি ধর্মো ব্যবস্থিতঃ। পৃ ৪৩১
যাজ্ঞবল্ক্যও তাহা সমর্থন করেন—
জাতোঽপি দাস্যাং শূদ্রেণ কামতোঽংশহরো ভবেৎ। ঐ
এইখানে বলা উচিত যে ‘অংশ’ ও ‘দায়’ এক কথা নয়। দায়ে নির্দিষ্ট ভাগ অভিপ্রেত, অংশ শব্দে অনির্দিষ্ট কিয়ৎপরিমাণ অর্থ বুঝায়। তাহা ভরণপোষণ বা খোরপোশ এই দুইয়েরই বহির্ভূত। যাহার দায়ে বা অংশে কোনো দাবি নাই সেও খোরপোশ পাইতে পারে। যথা, প্রতিলোমজাতপুত্রদেরও ভরণপোষণ দিতে পিতা বাধ্য এই কথা গৌতম বলেন—