প্রতিলোমানামপি সংব্যবহার্যাণাং সুতানাং শুশ্রূষূণাং জনকেন জীবনং দেয়মিত্যাহ গৌতমঃ। পৃ ৪৩০
নারীদের দায়াধিকারের কথা প্রসঙ্গে দেখা যায় বরদরাজ খুবই উদার ও যুক্তিযুক্তভাবে তাহার সমাধান করিয়াছেন। বিষ্ণুস্মৃতির মতে তিনি বলেন, মায়েরা পুত্রেরই ভাগানুসারে ভাগহারিণী হইবেন—
মাতরঃ পুত্রভাগানুসারিভাগহারিণ্য ইতি। পৃ ৪২৯
বরদরাজ বলেন, কেহ কেহ পত্নীদের ভাগ স্বীকার করেন না—
তত্র পত্নী নির্ভাগেতি কেচিৎ। পৃ ৪১৪
কিন্তু যাজ্ঞবল্ক্যের মতে, স্বামী বা শ্বশুর যদি নারীকে স্ত্রীধন না দিয়া থাকেন তবে পুত্রদের সমান অংশ পত্নীকে দেওয়া উচিত—
যদি কুর্যাৎ সমানংশান্ পত্ন্যঃ কার্যাঃ সমাংশিকাঃ।
ন দত্তং স্ত্রীধনং যাসাং ভর্ত্রা বা শ্বশুরেণ বা। পৃ ৪১৫
যদি পিতা সব পুত্রদের ভাগ সমান করিয়া দেন তবে সজাতীয় পত্নীদেরও সমান ভাগ দেওয়া উচিত। যদি স্বামী বা শ্বশুরের দেওয়া কিছু স্ত্রীধন নারীরা পাইয়া থাকেন তবে যতটা দিলে পুত্রদের সঙ্গে তাহাদের ভাগ সমান হয় ততটা দেওয়া কর্তব্য—
যদা স্বেচ্ছয়া পিতা সর্বানেব সুতান্ সমভাগিনঃ করোতি, তদা সজাতীয়পত্ন্যশ্চ পুত্রসমাংশভাজঃ কর্তব্যাঃ। যাসাং পত্নীনাং ভর্ত্রা শ্বশুরেণ বা স্ত্রীধনং দত্তং, দত্তে চ স্ত্রীধনে তদপেক্ষয়া ভাগপরিপূরণং কর্তব্যম্। পৃ ৪১৫
মিতাক্ষরাতেও ঠিক এই বিধানই দেখা যায় (২. ১১৫)। কাজেই মিতাক্ষরাও এই মতই সমর্থন করেন (ঐ)।
পিতার জীবৎকালে বিভাগ হইলে মাতাদের ভাগ সমান হইবে। এই কথা বলিয়া যাজ্ঞবল্ক্য বলেন, পিতামৃতেও মাতারা সমাংশভাগিনী হইবেন।
এবং জীবদ্বিভাগে সমাংশভাগিত্বং মাতৃণামুক্ত্বা পিতরি মৃতেঽপি সমাংশভাজো ভবন্তীত্যাহ যাজ্ঞবল্ক্যঃ। ব্যবহার নির্ণয়, পৃ ৪১৫
যাজ্ঞবল্ক্য আরও বলেন, পিতার মৃত্যুর পর সম্পত্তির ভাগকালে মাতাও সমান অংশ পাইবেন—
পিতুরূর্ধ্বং বিভজতাং মাতাঽপ্যংশঃ সমং হরেৎ। ঐ
নারদও বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর মাতা সমাংশভাগিনী—
মাংশভাগিনী মাতা পুত্রাণাং স্যান্মৃতে পতৌ। ঐ