বৃহস্পতির মতেও—
তদভাবে তু জননী তনয়াংশসমাংশিনী। পৃ ৪১৬
ব্যাসও এই কথা সমর্থন করেন এবং পিতামহীকেও মাতার মত ভাগাধিকার দেন—
অসুতাস্তু[১] পিতুঃ পত্ন্যঃ সমানাংশাঃ প্রকীর্তিতাঃ।
পিতামহ্যশ্চ সর্বাস্তু মাতৃতুল্যাঃ প্রকীর্তিতাঃ।
কাজেই মায়েদের মত পিতামহীদেরও ভাগাধিকার থাকা উচিত—
পিতামহ্যা অপি মাতৃবদ্ভাগকল্পনং যুক্তমিতি।
বিষ্ণু বলেন, মাতা এবং অবিবাহিতা কন্যা পুত্রভাগানুসারিভাগহারী—
মাতরঃ পুত্রভাগানুসারিভাগহারিণ্য অনূঢ়াশ্চ দুহিতরঃ ইতি। ঐ
বৃহস্পতি বলেন, মায়ের ভাগ সমান, কন্যার ভাগ একচতুর্থাংশ—
সমাংশা মাতরস্তেষাং তুরীয়াংশা চ কন্যকা। ঐ
কাত্যায়নও অবিবাহিতা কন্যার এক চতুর্থাধিকারই সমর্থন করেন—
কন্যকানাং ত্বদত্তানাং চতুর্থো ভাগ ইষ্যতে।
ভ্রাতৃণাং চ ত্রয়ো ভাগঃ সমং স্বল্পধনে স্মৃতম্।
সামান্য সম্পত্তি হইলে কন্যা ও পুত্রদের ভাগ সমানই হইবে।
মনু বলেন, ভাইরা আপন ভাগ হইতে কন্যাকে ভাগ দিবেন। না দিতে চাহিলে ভ্রাতারা পতিত হইবেন—
স্বেভ্যোংঽশেভ্যস্ত কন্যাভ্যঃ প্রদদ্যুর্ভ্রাতরঃ পৃথক্।
স্বাৎস্বাদংশাচ্চতুর্ভাগং পতিতাঃ স্যুরদিৎসবঃ। ঐ
শঙ্খ-লিখিত এবং বোধায়ন বলেন, দায়ভাগকালে কন্যা আপন ভাগের সহিত নিজ অলংকার ও বৈবাহিক স্ত্রীধনও পাইবেন—
বিভজ্যমানে দায়াদ্যে কন্যালংকারং বৈবাহিকং স্ত্রীধনং চ কন্যা লভেত। পৃ ৪১৭
পৈঠীনসি বলেন, কন্যা এই সঙ্গে বৈবাহিক স্ত্রীধনও পাইবেন—
কন্যা বৈবাহিকং স্ত্রীধনং চ লভেত। ঐ
পুত্রাভাবে সম্পত্তির উত্তরাধিকার কিরূপ হইবে সেই বিষয়ে বরদরাজ বহু প্রাচীন বিধি সংকলিত করিয়া বিচার করিয়াছেন (পৃ ৪৪৮-৪৬১)। স্ত্রীগণের দায়াধিকার বিষয়ে যে অনেকের ভালো সম্মতি নাই তাহা তিনি দেখাইয়াছেন।
- ↑ ‘সসুতা’ পাঠও আছে।