কারণ তখনও অধিকারীর আর-এক অংশ বাঁচিয়া-বর্তিয়াই আছেন। সুতরাং তখন ধন-“অধিকারী” বলিয়া সেই অর্ধাঙ্গেরই প্রাপ্য, “উত্তরাধিকারী” বলিয়া নহে। পত্নী না থাকিলে তখন সন্তানদের উত্তরাধিকারের কথা। সেখানেও পুত্র অপেক্ষা কন্যার দাবি কেন কম হইবে?
বৃহস্পতিও বলেন, পত্নী স্বামীর ধনহারিণী, পত্নীর অভাবে দুহিতা—
ভর্তুর্ধনহরী পত্নী তাং বিনা দুহিতা স্মৃতা। ঐ
পিতামহও বলেন, অপুত্র স্বামীর পত্নীই স্বামীর ভাগহারিণী—
অসুতস্য প্রমীতস্য পত্নী তদ্ভাগহারিণী। ঐ
কাত্যায়নের মতেও অব্যভিচারিণী পত্নী স্বামীর ধনহারিণী, তদভাবে তাঁহার কন্যা যদি সে তখনও অনূঢ়া থাকে—
পত্নী ভর্তুর্ধনহরী যা স্যাদব্যভিচারিণী।
তদভাবে তু দুহিতা যদ্যনূঢ়া ভবেৎ তদা। পৃ ৪৫
দেবল বলেন, পিতৃদ্রব্য ও বৈবাহিক ধন কন্যাদের দিতে হইবে। অপুত্রদের ধর্মজা কন্যা পুত্রবৎ পিতৃধনের অধিকারিণী—
কন্যাভ্যশ্চ পিতৃদ্রব্যং দেয়ং বৈবাহিকং বসু।
অপুত্রকস্য স্বং কন্যা ধর্মজা পুত্রবদ্ধরেৎ। পৃ ৪৫১
মনু-নারদ উভয়েই বলেন, পুত্র যেমন আত্মসম, দুহিতাও তেমনি পুত্রসমা কাজেই আপনার ও পুত্রকন্যার মধ্যে কোনো প্রভেদ নাই। সেই আপনি বাঁচিয়া থাকিতে, অর্থাৎ পুত্রকন্যা থাকিতে, কেন অন্যে ধন হরণ করিবে?—
যথৈবাত্মা তথা পুত্রঃ পুত্রেণ দুহিতা সমা।
তস্যামাত্মনি তিষ্ঠন্ত্যাং কথমন্যো ধনং হরেৎ। ঐ
প্রসঙ্গবশে এই শ্লোকটির উল্লেখ পূর্বেও করা হইয়াছে।
মনুও (৯.১৩০) বলেন—
যথৈবাত্মা তথা পুত্রঃ পুত্রেণ দুহিতা সমা।
নারদও বলেন, পুত্রকন্যা উভয়ই সমান। কাজেই পুত্রাভাবে দুহিতাই পুত্র। পুত্রকন্যা উভয়ই পিতার বংশ রক্ষা করে—
পুত্রাভাবে তু দুহিতা তুল্যসন্তানদর্শনাৎ।
পুত্রশ্চ দুহিতা চোভৌ পিতুঃ সন্তানকারকৌ। ঐ
বৃহস্পতি বলেন, পত্নী স্বামীর ধনহারিণী, পত্নী না থাকিলে দুহিতাই