কাজেই স্থাবর সম্পত্তিতে নারদের মতে স্বামীর মৃত্যুর পর স্বত্ত্ব হয় না। কিন্তু অন্যান্য অনেক শাস্ত্রকারের মতে প্রীতিদত্ত স্থাবরেও স্ত্রীরই স্বত্ব হয়—
প্রীতিদত্তং স্থাবরং দাতরি মৃতে স্ত্রিয়াঃ ন স্বং ভবতি ইত্যর্থঃ।
কেচিৎ তু প্রীতিদত্তং স্থাবরমপি স্বমেব। ঐ
এখানে যাজ্ঞবল্ক্যের একটি বিশেষ বিধি বরদরাজ উদ্ধৃত করিয়াছেন— দুর্ভিক্ষে, ধর্মকার্যে, ব্যাধিতে, রাজার হাতে বন্দী হইলে যদি স্বামী স্ত্রীধন হইতে কিছু নেন তবে তাঁহাকে বাধ্য করিয়া তাহা আদায় করা অনুচিত—
দুর্ভিক্ষে ধর্ম কার্যে চ ব্যাধৌ সংপ্রতিরোধকে।
গৃহীতং স্ত্রীধনং ভর্ত্রা নাকামো দাতুমর্হতি॥ ঐ
এইখানে কাত্যায়ন বলেন, স্ত্রীধনে স্বামী-পুত্র পিতা-ভ্রাতা কাহারই কোনো অধিকার নাই। যদি ইহাদের মধ্যে কেহ বলপূর্বক তাহা ভোগ করেন তবে তিনি দণ্ডনীয় এবং সুদসহ তাহা ফিরাইয়া দিতে বাধ্য—
নৈব ভর্তা নৈব সুতো ন পিতা ভ্রাতরো ন চ।
আদানে বা বিসর্গে বা স্ত্রীধনে প্রভবিষ্ণব।
যদি হ্যন্যতরো হ্যেষাং স্ত্রীধনং ভক্ষয়েদ্ বলাৎ।
সবৃদ্ধিকং প্রদাপ্যঃ স্যাৎ দণ্ডং চৈব সমাপ্নুয়াৎ। ঐ
তবে কাত্যায়ন বলেন, যদি ইহাদের কেহ ঠেকায় পড়িয়া স্বত্বাধিকারিণীর আজ্ঞানুসারে কিছু ভোগ করেন তবে সমর্থ হইলেই সেই মূল্যধন তিনি ফিরাইয়া দিতে বাধ্য। ব্যাধিত ব্যসনার্ত বা ঋণের দায় দেখিয়া যদি স্বত্বাধিকারিণী আপন খুশিতে তাহাকে কিছু সাহায্য করিয়াও থাকেন তবে পরে সেই স্ত্রীধন আপন ইচ্ছায় তাঁহারই ফিরাইয়া দেওয়া উচিত—
তদেব যদনুজ্ঞাপ্য ভক্ষয়েৎ প্রীতিপূর্বকম্।
মূল্যমেব স দাপ্যঃস্যাৎ যদাসৌ ধনবান্ ভবেৎ।
ব্যাধিতং ব্যসনার্তং চ ধনিকৈর্বোপপীড়িতম্।
জ্ঞাত্বা নিসৃষ্টং যৎপ্রীত্যা দদ্যাদাত্মেচ্ছয়া তু সঃ। পৃ ৪৭০
দেবল বলেন, বৃত্তি আভরণ শুল্কলাভ সব সমেতই স্ত্রীধন। স্ত্রীই তাহা ভোগ করিবেন। বিপদগ্রস্ত না হইলে পতির তাহাতে কোনো দাবি নাই। যদি বিনা কারণে পতি তাহা ভোগ করেন তবে স্ত্রীকে সুদ সমেত ফিরাইয়া দিতে তিনি বাধ্য। পুত্রের পীড়ার প্রতিকারেও স্ত্রীধন লওয়া যাইতে পারে—