স্ত্রীধন
সম্পত্তির অধিকার-প্রকরণে এই বিষয়ে কিছু বলা হইয়া থাকিলেও পুনরায় প্রয়োজনবশতঃ স্ত্রীধনের কথা আর-একটু বিশদভাবে বলিতে হইতেছে।
স্ত্রীধনের কথা বলিতে গিয়াও শাস্ত্রকারেরা বেশ স্পষ্টভাবেই সব বিষয় আলোচনা করিয়াছেন। নারদীয়-মনুতে দেখা যায়—
অধ্যগ্নধ্যাবাহনিকং ভর্ত্তৃদায়স্তথৈব চ।
ভ্রাত্রা দত্তং পিতৃভ্যাং চ ষড়্বিধং স্ত্রীধনম্ স্মৃতম্॥ ১৩.৮
এই শ্লোকটি পারিভাষিক শব্দে পূর্ণ হওয়ায় ভাষ্যকার গোবিন্দস্বামীর ভাষ্যানুবাদ দেওয়া যাইতেছে—
‘বিবাহকালে দত্ত, কাহারও মতে স্বামী প্রভৃতির দ্বারা জ্ঞাতিকুলে পুনরায় আসিবার সময়ে দত্ত, অন্যদের মতে স্বগৃহে আনয়নকালে দত্ত, স্বামী খুশি হইয়া পরে যাহা দেন, ভাই-পিতা-মাতা যাহা দেন এই ছয় প্রকার যে স্ত্রীধনের কথা লোকে বলে এইখানে তাহাতে সম্মতি দেওয়া যাইতেছে। ইহা স্মৃতিশাস্ত্রসম্মত।’
মনুসংহিতায়ও (৯. ১৯৪) এই বিধানই স্বীকৃত।
বহু স্মৃতিতে স্ত্রীধন বিষয়ে আলোচনা আছে। বাহুল্য ভয়ে সবগুলি না দেখিয়া কৌটলীয় অর্থশাস্ত্রে স্ত্রীধনের ব্যবস্থা দেখা যাউক, কারণ অর্থশাস্ত্র হইল চলিত আইন।
অর্থশাস্ত্রের মতে, বৃত্তি অর্থাৎ ভরণপোষণের জন্য যে ধন, এবং ‘আবন্ধ্য’ অর্থাৎ অলংকারাদি হইল স্ত্রীধন—
বৃত্তিরাবন্ধ্যং বা স্ত্রীধনম্। অর্থশাস্ত্র, গণপতি শাস্ত্রী, II, ৫৯, পৃ ১৪
সাধারণতঃ বৃত্তির জন্য দত্ত ধন হাজার পর্যন্ত হয়।
দ্বিসহস্রের উপর বৃত্তি থাকিলে তাহা (জ্ঞাতিগণের কাছে) স্থাপ্য—
পরদ্বিসাহস্রা স্থাপ্যা বৃত্তিঃ। ঐ
অলংকারের বিষয়ে এইরূপ কোনো নিয়ম নাই—
আবন্ধ্যানিয়মঃ। ঐ
স্বামী যদি ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা না করিয়া বিদেশে যান তবে নিজের,