বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রাচীন ভারতে নারী - ক্ষিতিমোহন সেন (১৯৫০).pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯০
প্রাচীন ভারতে নারী

 আর যদি সেই নারী বৈধব্যব্রত পালন না করিয়া পত্যন্তর গ্রহণ করিয়া আবার ঘর করিতে চাহেন (কুটুম্বকামা), তবে বিবাহকালে শ্বশুর ও পতির দত্তধন পাইবেন—

কুটুম্বকামী তু শ্বশুরপতিদত্তং নিবেশকালে লভেত। ঐ

পুনরায় বিবাহকালের এই কথা দীর্ঘ প্রবাস-প্রকরণে ব্যাখ্যাত হইবে—

নিবেশকালং হি দীর্ঘপ্রবাসে ব্যাখ্যাস্যামঃ। ঐ

 এই দীর্ঘ প্রবাসের হেতুতে পত্যন্তর গ্রহণের কথা আমরা প্রোষিত পতির কথা প্রসঙ্গে বলিয়াছি।

 শ্বশুর যাহার সহিত সেই নারীকে বিবাহিতা হইতে বলেন তাহার সহিত বিবাহ না করিয়া যদি সে অন্যত্র বিবাহ করে তবে শ্বশুরের ও পতিদত্ত ধনও তাহাকে হারাইতে হয়—

শ্বশুর প্রাতিলোম্যেন বা নিবিষ্টা শ্বশুরপতিদত্তং জীয়েত। ঐ

তবে জ্ঞাতিহস্তে অভিসৃষ্ট হইয়া থাকিলে জ্ঞাতিরা সেই নারীর কাছে যাহা পাইয়াছেন তাহা তাহাকে তখন ফিরাইয়া দিবেন—

জ্ঞাতিহস্তাদভিমৃষ্টায়া জ্ঞাতয়ো যথাগৃহীতং দদ্যুঃ। ঐ

 অর্থশাস্ত্রের স্ত্রীধন-প্রকরণেও পত্যন্তর গ্রহণ বিষয়ে আরও কিছু তথ্য জানা গেল।