পাতা:প্রাচীন মুদ্রা প্রথম ভাগ.djvu/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ । X > করিতেন যে, এই শব্দটি প্রাচীন হিব্রু ভাষার একটা ধাতু হইতে উৎপন্ন । প্রাচীনকালে ভিন্ন ভিন্ন জাতির সংস্পর্শে প্রাচীন ভারতের ভাষায় বহু বিদেশীয় শব্দ প্রবেশ লাভ করিয়াছিল। কোন একটি মুদ্রার নাম দদি কোন বিদেশীয় ভাষা হইতে গৃহীত হইরা থাকে তাহা হইলেই কি প্রমাণ শুইবে যে, ভারতবাসিগণ প্রাচীনকালে যে বিদেশীয় জাতির ভাষা ইহঁতে মুদ্রার নাম গ্রহণ করিয়াছিলেন, সেই বিদেশীয় জাতির নিকটেই উক্ত মুদ্রার ব্যবহার শিক্ষা করিয়াছিলেন ? প্রাচীন ভারতবাসী ও ইরাণবাসী, ভাষাত ডুবি ও নৃতত্ত্ববিদ্‌ পণ্ডিতগণের মতানুসারে একই ভিন্ন ভিন্ন শাখামাত্র, সুতরাং প্রাচীন ইরাণে ও প্রাচীন ভারতবর্যে একহ ধাতু ওজনের রীতি ও একই মুদ্রাঙ্কন পদ্ধতি প্রচলিত থাক আশ্চর্যের বিষয় নহে । এই ওজনের রীতি অথবা মুদ্রাঙ্কন-পদ্ধতি ইরাণবাসী আমাগণের নিজস্ব এবং তাহারা ভারতবাসিগণ কত্ত্বক অবলম্বিত হইবার পূৰ্ব্ব হইতে ইহা ব্যবহার করিয়া সতেছেন এই কথার যতদিন পর্য্যস্ত স্পষ্ট প্রমাণ ন হইবে ততদিন পৰ্য্যন্ত ধাতু-তোলেবু রীতি এবং মুদ্রাঙ্কন-পদ্ধতি সম্বন্ধে ইরাণবাসার নিকটে প্রাচীন ভারতবাসীর ঋণের কথা উল্লেখ করা সঙ্গত হইবে না । গৌতম বুদ্ধের জন্মের বহু পূৰ্ব্বে ভারতবর্ষে যে মুদ্রার প্রচলন ছিল বৌদ্ধ সাহিত্যে তাহার বহু প্রমাণ দেখিতে পাওয়া যায় । জাতকমালার গল্পগুলি যে বুদ্ধের জন্মের পূৰ্ব্বেও প্রচলিত ছিল, সে বিষয়ে কোনই সন্দেহ নাই, কারণ ইহার কতকগুলি গল্প আয্যজাতির সাধারণ সম্পত্তি । বর্তমান সময়ে পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ অনুমান করেন যে, খৃঃ পূঃ চতুর্থ তাব্দীতে জাতকসমূহ বৰ্ত্তমান আকারে লিখিত হইয়াছিল, এই গুলিতে জা{ t:) Ancient Indian Weights, pp. 16–17,