প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য প্রকৃতি একটা আলাদা, মানুষ একটা আলাদা, ঐ রকম পশু পক্ষী কীট-পতঙ্গ গাছ-পালা মাটি পাথর ধাতু প্রভৃতি সব আলাদা আলাদা। ভগবান ঐ রকম আলাদা আলাদা করে স্মৃষ্টি করেছেন। জ্ঞান মানে কিনা বস্থর মধ্যে এক দেখা । যে গুলো আলাদা, তফাৎ বলে আপাততঃ বোধ হচ্ছে, তাদের মধ্যে ঐক্য দেখা । যে সম্বদ্ধে এই ঐক্য মানুষ দেখতে পায়, সেই সম্বন্ধটাকে ‘নিয়ম’ বলে , এরি নাম প্রাকৃতিক নিয়ম । পূর্বে বলেছি যে, আমাদের বিদ্যা বুদ্ধি চিন্তা সমস্ত আধ্যাত্মিক, সমস্ত বিকাশ ধৰ্ম্মে । আর পাশ্চাত্যে ঐ সমস্ত বিকাশ বাইরে, শরীরে, সমাজে । ভারতবর্ষে চিন্তাশীল মনীষীরা ক্রমে বুঝতে পারলেন যে, ও আলাদা ভাবটা ভুল ; ও সব আলাদার মধ্যে সম্বন্ধ রয়েছে, মাটি পাথর গাছ পালা জন্তু মানুষ দেবতা, এমন কি ঈশ্বর স্বয়ং–এর মধ্যে ঐক্য রয়েছে । অদ্বৈতবাদী এর চরমসীমায় পৌছুলেন, বল্লেন যে, সমস্তই সেই একের বিকাশ । বাস্তবিক এই অধ্যাত্ম ও অধিভূত জগৎ এক, তার নাম ‘ব্রহ্ম ; আর ঐ যে আলাদা আলাদা বোধ হচ্ছে, ওটা ভুল, পর নাম দিলেন ‘মায়া’, ‘অবিদ্যা’ অর্থাৎ অজ্ঞান । এই হল জ্ঞানের চরম সীমা । పెt
পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/১০১
অবয়ব