প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ধীরে পচে যাচ্ছি, এ কথার জবাব দাও,—নিজের মনকে জিজ্ঞাসা কর। জবাব কি আর দিতে হয়,—‘ফলেন পরিচয়তে । সত্ত্বপ্রাধান্তে মানুষ নিক্রিয় হয়, শাস্ত হয়, কিন্তু সে নিক্রিয়ত্ব মহাশক্তি কেন্দ্রীভূত হয়ে হয়, সে শাস্তি মহাবীৰ্য্যের পিতা। সে মহাপুরুষের আর আমাদের মত হাত-পা নেড়ে কাজ করতে হয় না, তার ইচ্ছামাত্রে অবলীলাক্রমে সব কাৰ্য্য সম্পন্ন হয়ে যায়। সেই পুরুষই সত্ত্বগুণপ্রধান ব্রাহ্মণ, সৰ্ব্বলোকপূজ্য ; তাকে কি আর পূজা কর’ বলে পাড়ায় পাড়ায় কেঁদে বেড়াতে হয় ? জগদম্বা তার কপালফলকে নিজের হাতে লিখে দেন যে, এই মহাপুরুষকে সকলে পূজা কর, আর জগৎ অবনত মস্তকে শোনে। সেই মহাপুরুষই 'অদ্বেষ্ট সৰ্ব্বভূতানাং মৈত্র করুণ এব চ' ইত্যাদি। আর ঐ যে মিনমিনে পিনপিনে ঢোক গিলে গিলে কথা কয়, ছেড়ান্তাতা, সাতদিন উপবাসীর মত সরু আওয়াজ, সাত-চড়ে কথা কয় না, ওগুলো হচ্ছে তমোগুণ, ওগুলো মৃত্যুর চিহ্ন, . ও সত্ত্বগুণ নয় ও পচা তুর্গন্ধ। অৰ্জ্জুন ঐ দলে পড় ছিলেন বলেই ত ভগবান এত করে বোঝাচ্ছেন না গীতায় ? প্রথম ভগবানের মুখ থেকে কি কথা বেরুল দেখ, ক্লৈব্যং মাস্ম গম: পার্থ’—শেষ, তস্মাত্বমুত্তিষ্ঠ যশোলভস্ব’। ঐ জৈন বৌদ্ধ প্রভৃতির পাল্লায় পড়ে আমরা ঐ তমোগুণের రి
পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/১৮
অবয়ব