পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দলে পড়েছি—দেশশুদ্ধ পড়ে কতই হরি' বলছি, ভগবানকে ডাক্‌ছি, ভগবান শুনছেনই না, আজ হাজার বৎসর। শুনবেনই বা কেন, আহাম্মকের কথা মানুষই শোনে না,—তা ভগবান । এখন উপায় হচ্ছে ঐ ভগবদ্বাক্য শোনা, ক্লৈব্যং মস্মি গম: পার্থ ; তস্মাত্ৰমুত্তিষ্ঠ যশোলভস্ব’। এখন চলুক, পাশ্চাত্য অার প্রাচ্যের কথা। প্রথমে একটা তামাসা দেখ। ইউরোপীদের ঠাকুর যীশু উপদেশ করছেন যে, নির্বৈর হও, একগালে চড় মারলে অার এক গাল পেতে দাও, :" কাজ-কৰ্ম্ম বন্ধ কর, পোটলা-পুটল বেঁধে :- বসে থাক, আমি এই আবার আসছি, ੋੜ দুনিয়াটা, এই ফু চার দিনের মধ্যেই নাশ হয়ে যাবে। আর আমাদের ঠাকুর বলছেন, মহা উৎসাহে সৰ্ব্বদা কাৰ্য্য কর, শত্রু নাশ কর, হুনিয়া ভোগ কর। কিন্তু "উল্টা বুঝলি রাম’ হলো ; ওরা ইউরোপীরা যীশুর কথাটি গ্রাহের মধ্যেই আনলে না। সদা মহারজোগুণ, মহাকার্যাশীল, মহা উৎসাহে দেশদেশান্তরের ভোগমুখ আকর্ষণ করে ভোগ করছে। আর, আমরা কোণে বসে, পোটলা-পুটলি বেঁধে, দিন-রাত, মরণের ভাবনা ভাবছি, ‘নলিনীদল Ꮌ8