প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য তাদের জন্ত বলে রাখা যে, দেশের লোককে খোসামোদ করে আমার লাভটা কি ? না খেতে পেয়ে মরে গেলে দেশের লোকে একমুঠা অন্ন দেয় না ; ভিক্ষে শিক্ষে করে, বাইরে থেকে এনে, ছভিক্ষগ্রস্ত অনাথকে যদি খাওয়াই, ত তার ভাগ নেবার জন্য দেশের লোকের বিশেষ চেষ্টা, যদি না পায়, ত গালাগালির চোটে অস্থির ! হে স্বদেশীয় পণ্ডিতমগুলি ! এই ত আমার .. দেশের লোক, তাদের আবার কি খোস জাতীয় কল্য- মোদ ? তবে তার উন্মাদ হয়েছে, ণর উপর উন্মাদকে যে ঔষধ খাওয়াতে যাবে, তার হাতে দু-দশটা কামড় অবশ্যই উন্মাদ দেবে ; তা সয়ে যে ঔষধ খাওয়াতে যায় সেই যথার্থ বন্ধু। এই ‘জাতিধৰ্ম্ম,’ ‘স্বধৰ্ম্মই সকল দেশে সামাজিক কল্যাণের উপায়, মুক্তির সোপান। ঐ জাতিধৰ্ম্ম ‘স্বধৰ্ম্ম’ নাশের সঙ্গে সঙ্গে দেশটার অধঃপতন হয়েছে। তবে নিধুরাম-সিধুরাম যা জাতিধৰ্ম্ম, স্বধৰ্ম্ম বলে বুঝছেন, ওটা উল্টো উৎপাত ; নিধু জাতিধর্মের ঘোড়ার ডিম বুঝছেন, ওঁর গায়ের আচারকেই সনাতন আচার বলে ধারণা কচ্ছেন, নিজের কোলে ঝোল টানছেন, আর উৎসন্ন যাচ্ছেন। আমি গুণগত জাতির কথা বলছি না, বংশগত জাতির কথা বলছি, জন্মগত ›ፃ
পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/২২
অবয়ব