প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশু, এই তিন জাত এবং চীন, হুন, দরদ, পহলব, যবন এবং খশ, এই সকল ভারতের বহিঃস্থিত জাতি, এরা হচ্ছেন আর্য্য। শাস্ত্রোক্ত চীন জাতি, এ বৰ্ত্তমান চীনেম্যান’ নয় ; ওরা ত সে-কালে নিজেদের "চীনে বল তই না । ‘চীন’ বলে এক বড় জাত কাশ্মীরের উত্তর-পূর্বভাগে ছিল ; দরদুরাও যেখানে এখন ভারত আর আফগানিস্থানের মধ্যে পাহাড়ি জাত সকল, ঐখানে ছিল। প্রাচীন চীন জাতির হ্র দশটা বংশধর এখনও আছে । দরদিন্থান এখনও বিদ্যমান। ‘রাজতরঙ্গিনী’ নামক কাশ্মীরের ইতিহাসে বারম্বার দরদূরাজের প্রভুতার পরিচয় পাওয়া যায়। হুন নামক প্রাচীন জাতি অনেক দিন ভারতবর্ষের উত্তর-পশ্চিমাংশে রাজত্ব করেছিল। এখন টিবেটির নিজেদের হুন বলে ; কিন্তু সেটা বোধ হয় ‘হিউন" । ফল মনুক্ত হন আধুনিক তিববতী ত নয় ; তবে এমন হতে পারে যে সেই আৰ্য্য হন এবং মধ্যআশিয়া হতে সমাগত কোন মোগলাই জাতির সংমিশ্রণে বৰ্ত্তমান তিববতীর উৎপত্তি। প্রজাবলস্কি এবং ডুক্ডি অরলিঅঁ নামক রুশ ও ফরাসী পৰ্য্যটকদের মতে তিববতের স্থানে স্থানে এখনও আর্য্য-মুখচোখবিশিষ্ট জাতি দেখতে পাওয়া যায়। যবন হচ্ছে গ্রীক্২৯ আৰ্য্যজাতি
পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/৩৪
অবয়ব