প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য —ক্রমে দাতের সর্বনাশ হয় । সভ্যতার ভয়ে অনাচার। আমাদের আবার দুনিয়ার লোকের সামনে, রাস্তায় বসে, বমির নকল কৰ্ত্তে কৰ্ত্তে মুখধোওয়া, দাত-মাজ আচান,—এটা অত্যাচার । সমস্ত কাৰ্য্য গোপনে করা উচিত নিশ্চিত, তবে না করাও অনুচিত। আবার দেশভেদে যে সকল কাৰ্য্য অনিবাৰ্য্য, সেগুলো সমাজ সয়ে নেয় ! আমাদের গরমদেশে খেতে বসে আধ ঘড়াই জল খেয়ে ফেলি—এখন টেকুর না তুলে যাই কোথা ; কিন্তু ঢেকুর তোলা পাশ্চাত্যদেশে অতি অভদ্রের কাজ । কিন্তু খেতে খেতে রুমাল বার করে দিব্যি নাক ঝাড়—তত দোষের নয় ; আমাদের দেশে ঘৃণার কথা। এ ঠাণ্ডা দেশে মধ্যে মধ্যে নাক না ঝেড়ে থাকা যায় না । ময়লাকে অত্যন্ত ঘৃণা করে আমরা ময়লা হয়ে থাকি অনেক সময় । ময়লায় আমাদের এত ঘুণ যে ছুলে নাইতে হয় ; সেই ভয়ে স্তৃপাকৃতি ময়লা দোরের পাশে পচতে দিই। না ছুলেই হল। এদিকে যে নরককুণ্ডে বাস হচ্ছে, তার কি ? একটা অনাচারের ভয়ে অার একটা মহাঘোর অনাচার। একটা পাপ এড়াতে গিয়ে, আর একটা গুরুতর পাপ করছি। যার বাড়ীতে ময়লা, সে পাপী, তাতে আর সন্দেহ কি ? তার 8}
পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/৪৬
অবয়ব