পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সাজাও তাকে মরে পেতে হবে না,—অপেক্ষাও বড় বেশী কৰ্ত্তে হবে না। আমাদের রান্নার মত পরিষ্কার রান্না কোথাও নেই। বিলেতি খাওয়ার শৃঙ্খলার মত পরিষ্কার পদ্ধতি আমাদের নেই। আমাদের রাধুনী স্নান করেছে ; কাপড় বদলেছে ; হাড়িপত্র উমুন সব ধুয়ে মেজে সাফ করেছে ; নাকে মুখে গায়ে হাত ঠেক্‌লে, তখনি হাত ধুয়ে তবে আবার খাদ্যদ্রব্যে হাত দিচ্ছে। বিলাতি রাধুনীর চোদ পুরুষে কেউ স্নান করে নি ; রাধতে রাধতে চাখ ছে, আবার সেই চামৃচে হাড়িতে ডোবাচ্ছে । এarনজে রুমাল বার করে ফোৎ করে নাক ঝাড়লে, প্রাচ্য ও আবার সেই হাতে ময়দা মাখলে। শৌচ থেকে এল—কাগজ ব্যবহার করে সে হাত তুলনা ধোবার নামটিও নেই—সেই হাতে রাধতে লাগলো। কিন্তু ধপ-ধপে কাপড় আর টুপি পরেছে। হয়ত, একটা মস্ত কাঠের টবের মধ্যে হটো মানুষ উলঙ্গ হয়ে দাড়িয়ে রাশীকৃত ময়দার উপর নাচছে— কিনা ময়দা মাখা হচ্ছে । গরমী কাল—দরবিগলিত ঘাম পা রেয়ে সেই ময়দায় সে স্থচ্ছে। তারপর তার রুটি তৈয়ার যখন হল, তখন দুগ্ধফেননিভ তোয়ালের উপর চীনের বাসনে সজ্জিত হয়ে পরিষ্কার চাদর 8२