প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য এই যে, দুই অর্থই ঠিক। বিশুদ্ধ আহার না হলে ইন্দ্ৰিয়সকল যথাযথ কাৰ্য্য কি করেই বা করে ? কদৰ্য্য আহারে ইন্দ্ৰিয়সকলের গ্রহণ শক্তির হ্রাস হয় বা বিপৰ্য্যয় হয়, এ কথা সকলেরই প্রত্যক্ষ । অজীর্ণদোষে এক জিনিষকে আর এক বলে ভ্রম হওয়া এবং আহারের অভাবে দৃষ্টি-আদি শক্তির হ্রাস সকলেই জানেন । সেই প্রকার কোনও বিশেষ আহার বিশেষ শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা উপস্থিত করে, তাও ভূয়োদর্শনসিদ্ধ। আমাদের সমাজে যে এত খাদ্যাখাদ্যের বাচবিচার, তার মূলেও এই তত্ত্ব ; যদিও অনেক বিষয়ে আমরা বস্তু ভুলে, আধারটা নিয়েই টানা-হেঁচড়া করছি এখন। রামানুজাচার্য্য ভোজ্যদ্রব্য সম্বন্ধে তিনটি দোষ বঁাচাতে বলছেন । জাতিদোষ, অর্থাৎ যে দোষ ভোজ্য দ্রব্যের জাতিগত ; যেমন প্যাজ-লমুন ইত্যাদি উত্তেজক দ্রব্য খেলে মনে অস্থিরতা আসে অর্থাৎ বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়। আশ্রয়দোষ অর্থাৎ যে দোষ ব্যক্তিবিশেষের স্পর্শ হতে আসে ; দুষ্ট লোকের অন্ন খেলেই তুষ্টবুদ্ধি আসবেই, সতের অন্নে সংবুদ্ধি ইত্যাদি। নিমিত্তদোষ অর্থাৎ ময়লা কদৰ্য্য কীট-কেশাদি-তুষ্ট অন্ন খেলেও মন অপবিত্র হবে। এর মধ্যে জাতিদোষ এবং নিমিত্তদোষ থেকে 8&
পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/৫০
অবয়ব