পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য লুচি-কচুরি প্রভৃতি বিষলড ডুকের অভাব। এ কথা বিস্তার করে পরে বলছি । এই ত গেল খাওয়া-দাওয়া সম্বন্ধে প্রাচীন সাধারণ নিয়ম ! এ নিয়মের মধ্যে আবার অনেক মতামত প্রাচীনকালে চলেছে এবং আধুনিক কালে চলছে। প্রথম প্রাচীনকাল হতে আধুনিক কাল পর্যন্ত এক আমিষ ও মহা বিবাদ, আমিষ আর নিরামিষ । নিরামিষ মাংস ভোজন উপকারক কি অপকারক ? ভোজন তা ছাড়া জীবহত্যা স্তায় বা অন্যায়, এ এক মহা বিতণ্ডা চিরদিনের। একপক্ষ বলছেন— কোনও কারণে হত্যারূপ পাপ করা উচিত নয় ; আর এক পক্ষ বলছেন–রখে তোমার কথা, হত্যা না করলে প্রাণধারণই হয় না। শাস্ত্রবাদীদের ভেতর মহাগোল । শাস্ত্রে একবার বলছেন, যজ্ঞস্থলে হত্যা কর–আবার বলছেন, জীবঘাত করো না। হিন্দুরা সিদ্ধান্ত করছেন যে, যজ্ঞ ছাড়া অন্তক্র হত্যা করা পাপ । কিন্তু যজ্ঞ করে সুখে মাংস ভোজন কর । এমন কি, গৃহস্থের পক্ষে অনেকগুলি নিয়ম আছে যে, সে সে স্থলে হত্যা না করলে পাপ ;–যেমন শ্রাদ্ধাদি । সে সকল স্থলে নিমন্ত্রিত হয়ে মাংস না খেলে পশুজন্ম হয়—মমু বলছেন। অপরদিকে জৈন বৌদ্ধ 8ግ