পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য রোগ। একপক্ষ বলছেন, তোমার কোষ্ঠাশুদ্ধিরোগ শাক-পাত,ড়া খেয়ে জোলাপবৎ ভাল হয়ে যায়, তা বলে কি জুনিয়াশুদ্ধকে তাই করতে চাও ? ফলকথা, চিরকালই ংসাশী জাতেরাই যুদ্ধবীর চিন্তাশীল ইত্যাদি। মাংসাশী জাতেরা বলছেন যে যখন যজ্ঞের ধূম দেশময় উঠত, তখনই হিন্থর মধ্যে ভাল ভাল মাথা বেরিয়েছে, এ বাবাজীডেীল হয়ে পৰ্য্যন্ত একটাও মানুষ জন্মাল না । এ বিধায় মাংসাশীর ভয়ে মাংসাহার ছাড়তে চায় না। আমাদের দেশে আর্য্যসমাজ সম্প্রদায়ের মধ্যে এই বিবাদ উপস্থিত। এক পক্ষ বলছেন যে, মাংস খাওয়া একান্ত আবশ্বক ; আর পক্ষ বলছেন, একান্ত অক্ষায় । এই ত বাদ-বিবাদ চলছে । সকল পক্ষ দেখে-শুনে আমার ত বিশ্বাস দাড়াচ্ছে যে, হি ত্বরাই ঠিক, অর্থাৎ হিন্ধুদের ঐ যে ব্যবস্থা যে জন্ম-কৰ্ম্ম-ভেদে আহারাদি সমস্তই পৃথক, এইটিই সিদ্ধান্ত । মাংস খাওয়া আবশ্ব অসভ্যতা, নিরামিষভোজন অবশ্যই পবিত্রতর। র্যার উদ্দেশ্য কেবলমাত্র ধৰ্ম্ম-জীবন, তার পক্ষে নিরামিষ, আর যাকে খেটে-খুটে এই সংসারের দিবারাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে জীবন-তরী চালাতে হবে, তাকে সাংস খেতে হবে বৈ-কি । যতদিন মনুষ্যসমাজে এই ভাব থাকৃবে, @ e