পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ‘বলবানের জয়, ততদিন মাংস খেতে হবে বা অন্ত কোনও রকম মাংসের ন্যায় উপযোগী আহার আবিষ্কার কৰ্ত্তে হবে। নইলে বলবানের পদতলে তুৰ্ব্বল পেষা যাবে | রাম কি শু্যাম নিরামিষ খেয়ে ভাল আছেন বল্পে চলে না—জাতি জাতির তুলনা করে দেখ। আবার নিরামিষাশীদের মধ্যেও হচ্ছে কোদল । একপক্ষ বলচেন যে, ভাত আলু গম যব জনার প্রভৃতি শর্করাপ্রধান খাদ্যও কিছুই নয়, ও সব মামুষে বানিয়েছে, ঐ সব খেয়েই যত রোগ। শর্কর-উৎপাদক ( starchy ) খাবার রোগের ঘর। ঘোড়া গরুকে পর্য্যস্ত ঘরে বসে চাল-গম খাওয়ালে রুগী হয়ে যায়, আবার মাঠে ছেড়ে দিলে কচি ঘাস খেয়ে তাদের রোগ সেরে যায়। ঘাস শাক পাতা প্রভৃতি হরিৎ সবজিতে শর্করাউৎপাদক পদার্থ বডড কম। বনমানুষ জাতি বাদাম ও ঘাস খায়, আলু গম ইত্যাদি খায় না ; যদি খায় ত অপক অবস্থায়, যখন ষ্টার্চ (starch) অধিক হয় নি। এই সমস্ত নানাপ্রকার বিতণ্ডা চলছে। একপক্ষ বলছেন, শূল্য মাংস আর যথেষ্ট ফল এবং দুগ্ধ এইমাত্র ভোজনই দীর্ঘজীবনের উপযোগী। বিশেষ ফল, ফলাহারী অনেক দিন পর্য্যন্ত যুবা থাকবে, কারণ ফলের খাট্ট হাড়-গোড়ে জঙ্গ ধরতে দেয় না । &S