বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য এই ত গেল উভয় পক্ষের বুদ্ধিহীন বহিদৃষ্টি-লোকের কথা । ইউরোপী বিদেশী সুশীতল সুপরিস্কৃত সৌধশোভিত নগরাংশে বাস করেন, আমাদের ‘নেটিভ পাড়াগুলিকে নিজেদের দেশের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সহরের সঙ্গে তুলনা করেন। ভারতবাসীদের যা,সংসর্গ তাদের হয়, তা কেবল একদলের লোক-যারা সাহেবের চাকরী করে । আর, দুঃখ দারিদ্র্য ত বাস্তবিক ভারতবর্ষের মত পৃথিবীর আর কোথাও নাই। ময়লা-আবর্জনা চারিদিকে ত পড়েই রয়েছে। ইউরোপী-চক্ষে এ ময়লার, এ দাসবৃত্তির, এ নীচতার মধ্যে যে কিছু ভাল থাকা সম্ভব, তা বিশ্বাস হয় না । আমরা দেখি, শৌচ করে না, আচমন করে না, যা-তা খায়, বাছ-বিচার নাই, মদ খেয়ে মেয়ে বগলে ধেই ধেই নাচ,—এ জাতের মধ্যে কি ভাল রে বাপু ! দুই দৃষ্টিই বহিদৃষ্টি, ভেতরের কথা বুঝতে পারে না। বিদেশীকে আমরা সমাজে মিশ তে দিই না, মেচ্ছ? বলি,— ওরাও ‘কালা দাস’ বলে আমাদের ঘৃণা করে। এ দুয়ের মধ্যে কিছু সত্য অবশুই আছে, কিন্তু তু দলেই ভেতরের আসল জিনিষ দেখে নি। প্রত্যেক মামুষের মধ্যে একটা ভাব আছে ; বাইরের মানুষটা সেই ভাবের বহিঃপ্রকাশ মাত্র,—ভাষা WO