প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য বিদ্যা-বুদ্ধি-শিল্পের আদর যথেষ্ট হয়েছিল, কিন্তু অতি বৃদ্ধ জাত, নানা কারণে আবার পাশ ফিরে শুলে। ইয়োরোপে, ইতালির-পুনর্জন্ম গিয়ে লাগলো বলবান, অভিনব নূতন ফ্রী জাতিতে। চারিদিক হতে সভ্যতার ধারা সব এসে ফ্লােরন্স নগরীতে একত্র হয়ে নূতন রূপ ধারণ করলে ; কিন্তু ইতালি জাতিতে সে বীৰ্য্য-ধারণের শক্তি ছিল না, ভারতের মত সে উন্মেষ ঐখানেই শেষ হয়ে যেত, কিন্তু ইয়োরোপের সৌভাগ্য, এই নূতন ফ্রী জাতি আদরে সে তেজ গ্রহণ করলে। নবীন-রক্ত, নবীন জাত – সে তরঙ্গে মহাসাহসে নিজের তরণী ভাসিয়ে দিলে, সে স্রোতের বেগ ক্রমশঃই বাড়তে লাগলো, সে এক ধারা শতধারা হয়ে বাড়তে লাগলো ; ইয়োরোপের আর আর জাতি লোলুপ হয়ে খাল কেটে সে জল আপনার আপনার দেশে নিয়ে গেল এবং তাতে নিজেদের জীবনীশক্তি ঢেলে দেওয়ায় তার বেগ, তার বিস্তার বাড়তে লাগলো ভারতে এসে সে তরঙ্গ লাগলো ; জাপান সে বন্যায় বেঁচে উঠলো, সে জল পান করে মত্ত হয়ে উঠলো ; জাপান আসিয়ার নূতন জাত। এই পারি নগরী—সে ইয়োরোপী সভ্যতা-গঙ্গার গোমুখ। এ বিরাট রাজধানী মর্ত্যের অমরাবতী, b“L
পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/৮৮
অবয়ব